চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি-সম্পাদকের অনুমোদনহীন ব্যয়
সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত:
আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ টাকা
সমান অংশে জমা দিতে হবে ৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৪ টাকা
অন্যথায়, তিন বছরের জন্য ভোটাধিকার রহিত
নিউজ ডেস্ক:নিজস্ব প্রতিবেদক:চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আ স ম আব্দুর রউফের মেয়াদকালের অডিট রিপোর্টে বাজেট বহির্ভূত ও অনুমোদনহীন ব্যয়ের ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ টাকা আদায়যোগ্য দাবি করা হয়েছে। যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির তহবিলে জমা দিতে সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে সভাপতি অ্যাড. মোল্লা আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা পরিচালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবুল বাশার। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের মেয়াদকালে সাবেক সভাপতি অ্যাড. নুরুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ স ম আব্দুর রউফ ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ টাকা বাজেট বহির্ভূত ও অনুমোদনহীন ব্যয় করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই মেয়াদকালের ব্যয়ের অডিট করা হয়। অডিটে এ অনুমোদনহীন ব্যয় আদায়যোগ্য মর্মে উল্লেখ করা হয় এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বলা হয়। কিন্তু তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রদত্ত বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ টাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে সমান অংশে আদায়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সাবেক সভাপতি অ্যাড. নুরুল ইসলাম ৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৪ টাকা ও সাধারণ সম্পাদক আ স ম আব্দুর রউফ ৭ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৪ টাকা জেলা আইনজীবী সমিতির অগ্রণী ব্যাংক, কেদারগঞ্জ শাখার সঞ্চয়ী তহবিলে জমা দেবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদায়যোগ্য টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে ওই টাকা তাঁদের দুজনের কল্যাণ তহবিল থেকে কর্তন করা হবে এবং আগামী ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ তিন বছরের জন্য আইনজীবী সমিতিতে তাঁদের ভোটাধিকার রহিত করা হবে।এ প্রসঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আ স ম আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমরা যে ব্যয় করেছি, তা দৃশ্যমান। সাধারণ সভায় যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সে সিদ্ধান্তে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি। এ টাকা আমরা কেউ পকেটস্থ করিনি। মিলনায়তন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে। আমাদের সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতেই সাধারণ সভায় বারের সাধারণ সদস্যদের মতামত প্রদানের সুযোগ না দিয়ে এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি।’