ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার তেঘরি গ্রামে আওয়ামী লীগের দুটি সামাজিক দলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে ২৪টি বাড়ি-ঘর। খবর পয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে চারজনকে আটক করেছে। গতকাল মনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব জোয়ার্দ্দার ও বিদ্রোহী প্রার্থী সোনা শিকদারের সমর্থকেরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হলে তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা বৃদ্ধি পায়। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল শনিবার তেঘরিয়া গ্রামের নৌকা সমর্থক মিরাজ তাঁর দুই ভাই ফিরোজ ও হাফিজকে সামাজিক দল পরিবর্তনের জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনার জের ধরে নাদপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান, ইলিয়াস, ফিরেজ, ডাক্তার মজিবর রহমান, জিয়া, রহিমসহ একটি গ্রুপ তেঘরিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের ওপর হামলা চালান। এতে তেঘরিয়া গ্রামের রুমি খাতুন, আব্দুল হাকিম, রুবেল হোসেন, বকুল হোসেন, সোরাপ, ইউনুস, আজিম, আকুল, আজব, আকাম, তারেক, আব্দুর রশিদ, আব্বাস, পারুল খাতুন, সেলিনা খাতুন, কাজলী খাতুনসহ ১৫-২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা মসলেম ম-ল জানান, সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের ইন্ধনে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান মামুন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানিয়েছেন, দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন আছে বলে ওসি জানান।