নিউজ ডেস্ক:
বিদ্যমান কাগজের পরিবর্তে উন্নতমানের কোটিং করা দীর্ঘস্থায়ী শতভাগ কটন কাগজে মুদ্রিত ১০০ ও ৫০০ টাকার নতুন নোট ইস্যু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল রোববার রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক অফিস থেকে নতুন এ নোট দুটি ইস্যু করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য অফিস থেকেও নতুন নোট দুটি ইস্যু করবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন ব্যাংক নোটে ৪ মিলিমিটার প্রশস্ত নিরাপত্তামূলক কাইনেটিক স্টারক্রম সুতা সংযোজন করা হয়েছে। ১০০ টাকা মূল্যমানের নোটের দৈর্ঘ্য ১৪০ মিলিমিটার ও প্রস্থ ৬২ মিলিমিটার। অপরদিকে ৫০০ টাকা নোটের পরিমাপ হবে দৈর্ঘ্যে ১৫২ মিলিমিটার ও প্রস্থে ৬৫ মিলিমিটার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের স্বাক্ষরে নোট দুটি ইস্যু করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন নোটের নিরাপত্তার বিষয়ে আরো জানা যায়, ১০০ টাকার নতুন নোটের নিরাপত্তা সুতার দিকে সরাসরি তাকালে স্টারক্রোম নামক লাল রঙের নিরাপত্তা সুতা এবং উজ্জ্বল রূপালি বার এর সমন্বয়ে পেঁচানো (ট্যুইস্টেড) অবস্থায় দেখা যাবে। ৫০০ টাকার নোটের নিরাপত্তা সুতার দিকে সরাসরি তাকালে স্টারক্রোম নামক লাল রঙের নিরাপত্তা সুতা এবং উজ্জ্বল সোনালি বার এর সমন্বয়ে পেঁচানো অবস্থায় দেখা যাবে। বর্ণিত নিরাপত্তা সুতার দিকে সরাসরি তাকালে বা আলোর বিপরীতে দেখলে ১০০ টাকার নোটে ‘১০০ টাকা’, ৫০০ টাকার নোটে ‘৫০০ টাকা’ লেখাটি দেখা যাবে। ‘১০০ টাকা’ এবং ‘৫০০ টাকা’ টাকা লেখা কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার দৃশ্যমান অংশে সম্পূর্ণ ও আংশিক এবং কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার তেতরে অবস্থান করবে। ১০০ টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের উভয় নোট বিভিন্ন দিকে ঘুরালে বা কাত করলে এর হলোগ্রাফিক (স্টারক্রোম) অংশের রঙ লাল থেকে সবুজে পরিবর্তিত হবে এবং উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে।
নতুন নিরাপত্তা সুতাটি নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সহজে উঠানো সম্ভব হবে না। নোটের রঙ, ডিজাইন ও অন্যান্য সকল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য (জলছাপ, ওভিআই কালিতে লেখা ‘১০০’ ও ‘৫০০’, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য যথাক্রমে ৩টি ও ৪টি বিন্দু, মাইক্রোপ্রিন্ট, খসখসে লেখা ইত্যাদি) অপরিবর্তিত থাকবে।
এ ছাড়া নতুন মুদ্রিত বর্ণিত নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলনে থাকা ১০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের অন্যান্য নোটও বৈধ ব্যাংক নোট হিসেবে যুগপৎ চালু থাকবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।