নিউজ ডেস্ক:এমবিবিএস চিকিৎসক ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখতে পারবেন না, সরকারিভাবে এমন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জীবননগর শহরে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দেদার লিখছেন অ্যান্টিবায়োটিক। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহল আতঙ্ক প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, জীবননগর শহরের সুবল মোড়ে অবস্থিত দর্শনা হোমিও হলের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. সুমন্ত কুমার দে দীর্ঘদিন যাবৎ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করলেও হঠাৎ করে রাতারাতি তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা শুরু করেছেন। তিনি কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই নামিদামী কোম্পানির অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধ লিখছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ডা. সুমন্ত কুমার দে কোনো ডিগ্রি ছাড়াই জীবননগর শহরে হোমিপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। গত তিন মাস যাবৎ তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি নিজের নামের পাশে বিভিন্ন ধরনের ডিগ্রি উল্লেখ করে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। তিনি বিভিন্ন কোম্পানির নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকার নিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট লিখছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সম্প্রতি এক মাস আগে চুয়াডাঙ্গা জেলার ড্রাগ সুপার সুকর্ণ আহম্মেদ জীবননগরে সব ওষুধ ব্যবসায়ীর অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ব্যাপারে সচেতনতামূলক আলোচনা করেন। সেখানে তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক ছাড়া কেউ যেন অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ব্যবস্থাপত্রে না লেখেন, সে জন্য সব চিকিৎসককে অনুরোধ করেন। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. সুমন্ত কুমার দে প্রতিনিয়ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখছেন।
এ ব্যাপারে ডা. সুমন্ত কুমার দের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করি, পাশাপাশি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাও জানি। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লেখার জন্য আমার অনুমোদন আছে।’
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখতে পারবেন না। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, যদি কোনো চিকিৎসক ডিগ্রি ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।