নিউজ ডেস্ক:এক সময়ের জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলাধুলা কালের বির্বতনে হারিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রামীণ শিশু-কিশোরদের হাতে ওঠেছে স্মার্টফোন। আর ইন্টারনেটের যুগে প্রতিদিনই নতুন নতুন অনলাইন বা অ্যাপস গেমের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। এ ধরণের খেলায় শারীরিক কসরত না থাকায় বাড়ছে অলসতা এবং ঠিক মতো শিশু-কিশোরদের মেধার বিকাশও হচ্ছে না। এ সমস্ত বিষয় মাথা রেখে ৫ম বারের মত মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার চেংগাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়রা আয়োজন করেছে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম্য সব ঐতিহ্যবাহি খেলাগুলোর প্রতিযোগিতা। গতকাল দিনব্যাপী চলে এ খেলা। পরে এ খেলার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।এক সময়ের জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলাধুলা কালের বির্বতনে হারিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রামীণ শিশু-কিশোরদের হাতে ওঠেছে স্মার্টফোন। আর ইন্টারনেটের যুগে প্রতিদিনই নতুন নতুন অনলাইন বা অ্যাপস গেমের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। এ ধরণের খেলায় শারীরিক কসরত না থাকায় বাড়ছে অলসতা এবং ঠিক মতো শিশু-কিশোরদের মেধার বিকাশও হচ্ছে না। এ সমস্ত বিষয় মাথা রেখে ৫ম বারের মত মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার চেংগাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়রা আয়োজন করেছে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম্য সব ঐতিহ্যবাহি খেলাগুলোর প্রতিযোগিতা। গতকাল দিনব্যাপী চলে এ খেলা। পরে এ খেলার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তেল মেখে কলা গাছে উঠা, মার্বেল দৌড়, বিস্কুট মুখে দৌড়, বস্তা পরে দৌড়, বালিশ খেলা, দড়ি টানাটানি ও মাথায় পানি ভর্তি কলস নিয়ে দৌড় খেলাগুলো প্রতিযোগিতায় অংশ নেন প্রতিযোগিরা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া চেংগাড়া গ্রামের ৫০ বছরের আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘৩৫ বছর আগের কথা মনে পরেছে। সেই কিশোর বয়সে আমি প্রতিদিনই বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করেছি।’ স্থানীয় ফতাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, ‘যে খেলার মাধমে একটি গ্রাম অপর গ্রামের মানুষের মধ্যে শান্তির সেতুবন্ধন তৈরী করে, সে খেলাগুলো আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই আমরা হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলো নিয়েই এ আয়োজন প্রতিবছর করে থাকি।’ আয়োজক কমিটির আরেক সদস্য জিয়ারুল ইসলাম জানান, ‘আমরা চেষ্টা করছি ডিজিটালের যুগে হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলোকে নতুন ফিরিয়ে আনার। ডিজিটাল যুগের শিশু-কিশোররা যেন এই খেলাগুলো সর্ম্পকে জানে এবং নতুন করে এ খেলার প্রতি আকৃষ্ট হয়, সেই উদ্দেশে প্রতিবছর এ খেলার আয়োজন আমরা করি।’