নিউজ ডেস্ক:
রান্নায় অতি পরিচিত মশলা হলুদ। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রনের পাশাপাশি এতে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিকারসিনোজেনিক, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে হলুদ তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমিয়ে দিয়ে থাকে। হলুদ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। হলুদের উপাদান পেটের মেদ কাটতে সাহায্য করে থাকে। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিন খাবারের সাথে এক চামচ করে হলুদ খাওয়া শুরু করতে পারেন। কিছুদিনের মধ্যেই ওজন কমতে শুরু করবে।
তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই হলুদের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে।
১. সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ দেয় হলুদ। কাশি কমাতে হলে হলুদের রস খেয়ে নিন কয়েক চামচ, কিংবা এক টুকরো হলুদের সাথে মধু মাখিয়ে তা মুখের মাঝে রেখে আস্তে আস্তে চুষতে পারেন। সেটা করতে না পারলে এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুঁড়ো, সামান্য মাখন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। কয়েকবার সেবনেই নিরাময় হবে। কাশি ও গলা ব্যথা উভয়েই দূর হবে।
২. খাবারে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। কোলেস্টেরল থেকে অনেক রোগের সূচনা হতে পারে। তাই এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
৩. যেকোনো চর্ম রোগের জন্য হলুদ অনেক উপকারী। কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে শরীরে মাখলে একজিমা, অ্যালার্জি, র্যা শ, চুলকানি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. হলুদ পেট ফাঁপা, গ্যাসে সমস্যা রোধ করে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। হজমে সমস্যা হলে রান্না ছাড়া শুধু হলুদ খেলে উপকার পাবেন। তবে হ্যাঁ যারা গলব্লাডারের কোন রোগে ভুগছেন তারা সরাসরি হলুদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৫. হলুদ প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এমনকি এটি ক্যান্সারের কোষ নষ্ট করে দিয়ে থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে হলুদে থাকা উপাদানগুলো টিউমারের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
৬. হলুদ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যেমন বাচ্চাদের লিউকমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় নিয়মিত কাঁচা হলুদের রস সেবন। প্রতিদিন দুধ বা পানির সাথে হলুদের গুঁড়ো বা রস মিশিয়ে খাওয়া অভ্যাস করলে অনেকটাই সুস্থ থাকা সম্ভব।
৭. হলুদ আমাদের লিভারকে সুস্থ রাখে। হলুদের প্যাক ব্যবহারে আপনার ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল এবং সুন্দর। কিন্তু অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
৮. হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান অস্থিমজ্জার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। অস্টিওআর্থারাইটিস রোগীদের জন্য হলুদের নির্যাস ঔষধের মতো কাজ করে থাকে।
৯. হলুদের মানসিক অবসাদ রোধ করতে ব্যবহৃত অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্টের কাজও করে । এ ছাড়া, এই উপাদানে রয়েছে অ্যাস্পিরিনের গুণ। এর প্রয়োগে ভ্যাস্কুলার থ্রম্বোসিস আক্রান্ত রোগীর রক্তের ঘনত্বের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।