নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে দুর্যোগপূর্ণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে যাচ্ছেন সচ্ছল পরিবারের হাবিবুর (২২) নামের এক ব্যক্তি। সদর উপজেলার ৪ নম্বর হলিধানী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ইছাহাক আলীর বড় ছেলে হাবিবুর। তাঁর পিতার রয়েছে চার রুমের ফ্লাট বাড়ি। এ বিষয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক কৌতুহল।ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে দুর্যোগপূর্ণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে যাচ্ছেন সচ্ছল পরিবারের হাবিবুর (২২) নামের এক ব্যক্তি। সদর উপজেলার ৪ নম্বর হলিধানী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ইছাহাক আলীর বড় ছেলে হাবিবুর। তাঁর পিতার রয়েছে চার রুমের ফ্লাট বাড়ি। এ বিষয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাবিবুর চার বছর আগে বিয়ে করেন কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ি বসবাস করে আসছেন তিনি। দুর্যোগপূর্ণ ঘর পাবার কথা শুনে তিনি ১০-১৫ দিন আগে নিজেদের বাড়ির সামনে শালিয়া মৌজার ১০৬৬ নম্বর দাগের বার শতক জমির ওপর এক চালা একটি ঘর নির্মাণ করেছেন। সেখানে কাউকে বসবাস করতে দেখা যায়নি।এ বিষয়ে একই গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম রবি জানান, ‘ইছাহাক আলীর একটি ফ্লাটসহ সাড়ে তিন বিঘা জমি আছে। তাঁর ছেলে হাবিবুর পারিবারিকভাবে সচ্ছল। তাঁর এই ঘর পাবার কথা শুনে আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি। গ্রামে অনেক দুস্থ ও অসহায় পরিবার আছে। তাদেরও ঘরের তালিকা পাঠানো হয়েছে উপজেলা ইউএনও অফিসে। সে কীভাবে ঘর পেল আমরা বলতে পারব না। শুধু এতটুকু বলতে পারি, তাদের মতো সচ্ছল পরিবারের ঘর পাওয়া কাম্য নয়।’ হাবিবুরের পিতা ইছাহাক আলী জানান, তাঁর ছেলে দীর্ঘদিন যাবৎ শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর শ্বশুরের মাধ্যমে উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করে এই বাড়ির অনুমোদন পেয়েছেন। এ বিষয়ে হাবিবুর জানান, ‘আমি শ্বশুরের সঙ্গে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ করি। আমার শ্বশুর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসের অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এই ঘরের অনুমোদন করিয়ে দিয়েছেন।’ হলিধানী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, ‘হাবিবুর এই ঘর কোথা থেকে কীভাবে পেল, আমি এর কিছুই জানি না। আমরা ইউনিয়ন থেকে যে গরিব ও দুস্থদের ঘরের তালিকা দিয়েছি, সেই তালিকাতেও তাঁর কোনো নাম নেই।’ এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুজ্জামান শুভর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি যোগদানের পর থেকে কোনো প্রকল্পের ঘরের কাজ এখনো শুরু হয়নি। এই ঘরটি কীভাবে অনুমোদন পেয়েছে, জানি না। আমরা বিষয়টি দেখছি।’