স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় সরকারি কুমড় হড় নদের সেচ খালের বিভিন্ন জায়গা দখল করে এলাকার প্রভাবশালীরা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। ফলে এলাকার ১০টি গ্রামের ৯০হাজার সাধারন মানুষ সেচ খালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসন খাল দখলের কথা স্বীকার করে অবিলম্বে উদ্ধারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানোর কথা জানিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে. ব্রিটিশ আমলে এলাকা জনসাধারনের পানিজলের সুবিধার্থে জমিদার বিভুতভুশন দেবনাথ রায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া, ষড়াবাড়িয়া, শ্রীপলতলা, সোনারদাড়ি, রাধা নগর, ঘোপপাড়া সহ ১০টি গ্রামের মধ্যে দিয়ে খনন করে কুমড় হড়ের সেচ খালটি নবগঙ্গা নদীতে সংযোগ করে দেন।
খননের পর থেকে এলাকার কৃষকেরা খালের পানি ব্যবহার করে ফসললাদি উৎপাদনসহ কৃষির বিভিন্ন কাজে লাগাতেন। অনেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী আবু জাবের,বকুল ও মুকুল বিভিন্ন জায়গায় বাধঁ নির্মান করার কারনে পানির প্রবাহ আর নেই। প্রতিবছর ভরা মৌসুমে পানি প্লাবিত হয়ে মানুষের দুভোর্গ নেমে আসে। বর্তমানে সেচ খালটি শুকিয়ে গেছে। এখন এখানে গবাদি পশু চরানো হচ্ছে।
এলাকাবাসী সরকারি এই সেচ খালের জায়গা উদ্ধারের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এখানো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এলাকাবাসী অবিলম্বে সরকারি সেচ খালের জায়গা দখলমুক্ত করে খালটি পুনঃ খননের দাবি জানিয়েছেন।