কোটচাঁদপুরে মাদ্রাসা ছাত্র মিরাজ হোসেনকে গলাকেটে
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্র মিরাজ হোসেন হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক গোলাম আজম এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার পুটিখালী গ্রামে মৃত কাছেম আলী শেখের ছেলে আতাহার আলী শেখ ও ঝিনাইদহের কোটচাদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার কোটচাদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের মোহর আলীর মাদ্রাসা পড়–য়া ছেলে মিরাজ হোসেন (১২) ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ গ্রামের মাদ্রাসা মাঠে ধর্মসভা শুনতে যায়। রাতে বাড়ি না ফেরায় অনেক খোজাখুজির পর ১৬ মার্চ গ্রামের ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ওইদিন কোটচাঁদপুর থানায় ৪ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। অপহরনের পর মুক্তিপণের দাবিতে তাকে হত্যা করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক মঙ্গলবার দুপুরে আতাহার ও হাবিবুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। মামলার অপর দুই আসমী নাসির সরকার ও ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন। নিহত মিরাজ হোসেনের পিতা মোহর আলী আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের আদেশ তিনি আশা করেছিলেন।