দামুড়হুদার কাদিপুরে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাইয়ের আত্মহত্যা, ধু¤্রজাল
নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদার কাদিপুরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে জামাই নাজমুল (৩০) আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ ঘটনায় নাজমুলের পিতা বাদী হয়ে নিহত নামজুলের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। নিহত নাজমুল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের আনিছুল হকের ছেলে। গত সোমবার রাত আড়াইটার দিকে শ্বশুরের বসতবাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।দামুড়হুদার কাদিপুরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে জামাই নাজমুল (৩০) আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ ঘটনায় নাজমুলের পিতা বাদী হয়ে নিহত নামজুলের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। নিহত নাজমুল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের আনিছুল হকের ছেলে। গত সোমবার রাত আড়াইটার দিকে শ্বশুরের বসতবাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের আনিছুল হকের ছেলে নাজমুল হকের সঙ্গে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর স্কুলপাড়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে সোনিয়া খাতুনের (২৫) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে নাজমিন (৮) ও হ্যাপি (৫) নামের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। নাজমুল নয় মাস আগে ঢাকায় সিকিউরিটির চাকরিতে যান। ঈদের এক সপ্তাহ পর তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। গত সোমবার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন তিনি। সকালে পুলিশ শ্বশুর বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।নিহত নাজমুলের পিতা আনিছুল হক জানান, নাজমুল আগে কৃষিকাজ করতেন। পরে তিনি ঢাকায় সিকিউরিটির চাকরিতে যোগ দেন। তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘নাজমুলের স্ত্রী সোনিয়া ইতিপূর্বে অন্য পুরুষের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং স্বামী-সন্তান ফেলে তার সঙ্গে চলে যায়। নাজমুল তার সংসার ও দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে তাকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এরপর থেকে সোনিয়া তার ইচ্ছা-খুশি মতো চলাফেরা করত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। সোনিয়া আমার ছেলেকে খুন করে অন্য লোকের সঙ্গে সংসার করার হুমকি দিয়েছিল। আমার ধারণা, সোনিয়া আমার ছেলেকে কৌশলে বাপের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় হত্যা করেছে।’এ ঘটনায় নিহত নাজমুলের স্ত্রী সোনিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বসতবাড়ির ঘর ভাগ করা নিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝগড়া হয়। আমাকে তালাক দেওয়ার জন্য আমার শাশুড়ি, ননদ ও দেবর নাজমুলকে চাপ দিত। বলত, ৪৫ লাখ টাকা লাগে দেব, তুই বউ তালাক দিয়ে দে। ওই বউ নিয়ে সংসার করা যাবে না। তা ছাড়া আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ ছিল না।’ স্ত্রী সোনিয়া আরও জানান, নাজমুল রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখেছেন। খেলা দেখা শেষে রাত দুইটার পর নাজমুল ও সোনিয়া ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর পাঁচটার দিকে সোনিয়ার মা নামাজ পড়তে উঠে দেখেন, সোনিয়ার ছোট চাচা খাইরুল ইসলামের পরিত্যক্ত ঘরের আড়ায় ঝুলে রয়েছেন নাজমুল।দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে, হত্যা না আত্মহত্যা।