নিউজ ডেস্ক:
আয়কর দিতে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে ও করদাতাদের সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়ে আগামী ১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা। এবারের আয়কর মেলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ নতুন করদাতা সংগ্রহ করা।
ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহর, জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা শহরে হবে এ মেলা। রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে এক সপ্তাহ, জেলা শহরে চার দিন, ৩২ উপজেলা শহরে দুই দিন এবং ৭১ উপজেলায় একদিন (ভ্রাম্যমাণ) এ মেলা হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে চলমান রাজস্ব সংস্কৃতি আরো সুসংহত হবে। গত অর্থবছরে যেভাবে ই-টিআইএনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে এবার আমরা বেশি আয়কর রিটার্ন আশা করছি। এটা দিন দিন বাড়বে। এতে আমাদের তরুণ সমাজ আরো এগিয়ে আসবে। যারা করজালের বাইরে আছেন তারাও এগিয়ে আসবেন।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ৩১ লাখে উত্তীর্ণ হয়েছে। এবারে আমরা আরো ৫ লাখ টিআইএন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি। এ ছাড়া অনলাইন রিটার্ন ও ই-পেমেন্টকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি। সবমিলিয়ে রাজস্বের অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকবে আয়কর মেলায়।
গত বছরের মতো এবারও রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন রাজস্ব ভবনে আয়কর মেলা হবে। মেলায় নতুন করে আয়করের খাতায় নিবন্ধিত হতে অনলাইনে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন নেওয়া যাবে। এ ছাড়া করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া ও প্রযোজ্য কর পরিশোধ করতে পারবেন।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, কর মেলায় আয়কর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সব ধরনের আয়কর সেবা নেওয়া যাবে। বড় অঙ্কের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে আয়কর মেলায় থাকছে কর তথ্য ও সেবাকেন্দ্র, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা। রিটার্ন দাখিলের জন্য থাকবে ই-পেমেন্টের পৃথক বুথ। থাকছে ব্যাংকিং সুবিধাও। এ ছাড়া মেলায় সংশ্লিষ্ট করদাতারা রিটার্ন জমা দেওয়ার পাশাপাশি কর সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের উওর ও তথ্য পাবেন।
২০১০ সালে প্রথম আয়কর মেলা শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে আয়কর মেলায় সেবা নিয়েছেন ৯ লাখ ২৯ হাজার ব্যক্তি, যা তার আগেই বছরের চেয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার বেশি। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৪ হাজার করদাতা রিটার্ন জমা দেওয়ার বিপরীতে ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন। নতুন ই-টিআইএন নেওয়ার মাধ্যমে করের খাতায় নাম লিখিয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৫৩ জন।
২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর আয়কর দেওয়ার শেষ দিন থাকলেও বিভিন্ন কারণে সময়সীমা বাড়ানো হতো। গত বছর থেকে ৩০ নভেম্বরকে আয়কর দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ওই দিনই আয়কর দেওয়ার শেষ দিন। এর পর আয়কর দিতে চাইলে জরিমানা গুনতে হচ্ছে।