নিউজ ডেস্ক:
সুপেয় পানি নিয়ে সংসদ সদস্যদের (এমপি) মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। জাতীয় সংসদে মঙ্গলবারের বৈঠকে এ বিষয়ে চারজন এমপি নিজেদের উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এসব প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার সকলের জন্য সুপেয় পানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে ইতোমধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। এর ফলে শুস্ক মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না। পানির স্তর বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় চারটি গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকলগুলোর আওতায় প্রায় ১ লক্ষ পানির উৎস স্থাপন করা হবে।
এসময় তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৭ ভাগ জনগণ বিশুদ্ধ পানির সুবিধা আওতাভুক্ত। বাকি ১৩ ভাগ জনগণ দূরবর্তী অনান্য নিরাপদ পানির উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. আব্দুল মতিনের (মৌলভীবাজার-২), আলী আজম ভোলা-২) নূরুল ইসলাম ওমর (বগুড়া-৬) ও রহিম উল্লাহ ফেনী-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রায় একই ভাষায় তিনি এসব তথ্য জানান।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সারাদেশের গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৮০৯টি পুকুর পুনঃখনন করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১৪৩টি পুকুর পুনঃখনন ও ২০০টি পুকুর নতুনভাবে খনন করা হবে। এ সকল পুকুর পুনঃখনন করে পানি পন্ড স্যান্ড ফিল্টার পদ্ধতিতে সরবরাহের মাধ্যমে সকল জেলায় গর্ভস্থ পানির উপর নিভর্রশীলতা কমিয়ে ভূ-উপস্থ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।