নিউজ ডেস্ক: আলমডাঙ্গার মাদ্রাসাপাড়ায় শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর থেকে পালানো সিআইডি পুলিশের কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্যকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। তবে ঘাতক অসীমকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গত শনিবার রাতে হত্যাকান্ডের পরেই দেশের বিভিন্ন সীমান্তে সিআইডি পুলিশের কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্যের ছবি পাঠিয়ে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। এর আগে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত শেফালী অধিকারীর স্বামী সরান্দন অধিকারী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় সিআইডি পুলিশের কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্যকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সময় আহত কনস্টেবল অসীম ভট্রাচার্যের স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারীকে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পরেই সিআইডি পুলিশের কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্যের আলমডাঙ্গার কলেজপাড়ার ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫১ বোতল ফেনসিডিল ও বিদেশি সিমকার্ড উদ্ধার করেছে আলমডাঙ্গা-থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মামলার পর থেকে তাঁকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। কি কারণে এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে তদন্ত করে সঠিক তথ্য উদঘাটন করা হবে।
সিআইডি পুলিশ কনেস্টেবল অসীমের ঘর থেকে মাদক ও বিদেশি সিমকার্ড উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী বলেন, অসীম ভট্রাচার্যকে আটকে বাংলাদেশের সকল থানার পুলিশ কাজ করছে। সিআইডির পক্ষ থেকেও এই ঘটনায় অসীমকে আটকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দেশের প্রতিটি ভারতীয় সীমান্তে অসীম ভট্টাচার্যের ছবি পাঠিয়ে রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকটি টিম তাকে আটক করার জন্য কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মাদ্রাসাপাড়ার ভাড়া বাড়িতে গত শনিবার ভোর রাতে শাশুড়ি শেফালী অধিকারীকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে চুয়াডাঙ্গা সিআইডিতে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য। একই সাথে স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী ও শ্যালক আনন্দ অধিকারীকেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে জখম করে অসীম।