নিউজ ডেস্ক:
আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে চীনের অবস্থান তৃতীয়। এ দেশের স্থলসীমার দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার।
এই বিশাল ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে চীনের সেনাবাহিনী ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ বা সংক্ষেপে পিএলএ।
সামরিক সক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরই চীনের অবস্থান। চীনের সামরিক ব্যয় ১৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দেশটির জিডিপির দুই শতাংশ। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের নয় দশমিক পাঁচ শতাংশ করে চীন ব্যয় করে তাদের সামরিক বাহিনীর জন্য। অস্ত্র উৎপাদনে চীনের রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। বিশ্বে অনেকগুলো দেশে তারা অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে।
পিএলএ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট। এর পাঁচটি শাখা হলো: পিএলএ স্থলবাহিনী, পিএলএ নৌবাহিনী, পিএলএ বিমানবাহিনী, দ্বিতীয় গোলন্দাজ কর্পস, পিএলএ রিজার্ভ ফোর্স।
চীনের নিয়মিত সেনা সদস্য- ২২ লাখ ৮৫
রিজার্ভ আর্মি- ৮ লাখ
আধা সামরিক বাহিনীতে সদস্য- ১৫ লাখ
ট্যাংক- ১০ হাজার
পারমাণবিক অস্ত্র- ২৪০
সুবিশাল গোলন্দাজ ইউনিট ও এন্টি ট্যাংক মিসাইল ইউনিট
পিএলএ নৌবাহিনীতে রয়েছে
কোস্টাল ডিফেন্স ফোর্স- ৩৫ হাজার
মেরিন সেনা- ৫৬ হাজার
পিএলএএন অ্যাভিয়েশন সেনা- ৫৬ হাজার (এরা কয়েকশ বিমান এবং হেলিকপ্টার পরিচালনা করেন)
বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ- ১
উভচর যুদ্ধজাহাজ- ২৭
ফ্রিগেজ জাহাজ- ৪৮
ডেস্ট্রয়ার- ২৭
কারভিটি জাহাজ- ১৫
নিউক্লিয়ার সাবমেরিন- ১০
সাবমেরিন- ৪০
পিএলএ বিমানবাহিনী রয়েছে
জঙ্গিবিমান- ৩৭০
বোমারু বিমান- ১১৮
যুদ্ধবিমান- ১ হাজার ১৩০
চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। প্রতিষ্ঠার পরে পিপলস লিবারেশন আর্মি গৃহযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সীমান্ত সংঘাত থেকে শুরু করে সামরিক প্রতিরক্ষার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নিয়েছে।
সূত্র: ইন্টারনেট