নিউজ ডেস্ক:
গতি ফিরেছে স্থানীয় বিনিয়োগে। বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশীয় উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৪০ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। তবে এ সময়ে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব। বিডার আশা, সামনের দিনগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।
বিনিয়োগে স্থবিরতা কাটছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্থানীয় উদ্যোক্তারা ফের বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছেন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর বাস্তবায়নে অগ্রগতি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- বিডা বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশীয় ৪৫৭টি প্রতিষ্ঠান ৩১১ কোটি ৩৯ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার বেশি।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে শিল্প-কারখানাগুলো আছে সেগুলো যারা পরিচালনা করছেন তাদের দক্ষতা ও সরকারের নীতি সহায়তা সব মিলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, দেশীয় উদ্যোক্তারা ব্যাপকভাবে এগিয়ে এলেও বছরের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে। এ সময়ে ৫৭টি বিদেশি ও যৌথ প্রতিষ্ঠান ১৯ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। গত বছরের একই সময়ের বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব ছিল ১৪০ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
তারপরও সামগ্রিক বিনিয়োগের চিত্র বেশ ইতিবাচক। জানুয়ারি-জুন সময়ে দেশি-বিদেশি মিলে মোট ৩৩০ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পায় বিডা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬০ কোটি ১১ লাখ ডলার বেশি।
বিডা বলছে, করোনার কারণে ভ্রমণ নিয়ন্ত্রিত থাকার নেতিবাচক প্রভাব ছিল বিদেশি বিনিয়োগে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো থেকে বড় বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।
মো. সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ যদিও কমে গেছে তবে বিশ্বব্যাপী করোনা নিয়ন্ত্রণর পর ফ্রি-মুভমেন্ট শুরু হলে আমি বিশ্বাস করি, আবার বিনিয়োগ বাড়বে।
এদিকে, বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে সরকার। দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান এসব অঞ্চলে জমি বরাদ্দ পেয়েছে।