জিয়াবুল হক , টেকনাফ : টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া অঘোষিত ঘাটের নাম দিয়ে প্রতিনিয়ত মিয়ানমারের মরণ নেশা ইয়াবা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ২ বিজিবি সদস্যদের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এই অঘোষিত ঘাট নিয়ন্ত্রন করছে সাবরাং ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক নয়াপাড়ার এলাকার মৌলভী মোকতার আহম্মদের পুত্র হুমায়ুন, নয়াপাড়ার মকপাড়া এলাকার ওবায়দুল্লাহর পুত্র ইয়াবা গডফাদার সৈয়দ আলম, জিনা পাড়া এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার দিল মোহাম্মদসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এই মরণ নেশা ইয়াবা পাচারের সু-কৌশলে ব্যবহার করছে জেলেদের মাছ ধরা নৌকা। এই অঘোষিত ঘাট ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা মিয়ানমার থেকে পাচার করে টেকনাফ উপজেলার বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার নাফনদীর এই অবৈধ ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে তাদের পাচার কাজ সীমান্ত রক্ষী ২ বিজিবি অবস্থান দেখে বিজিবি সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান কাজ অব্যাহত রেখেছে। এই অঘোষিত ঘাটের সদস্যরা মিয়ানমার থেকে মরণ নেশা ইয়াবা প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে। এই ঘাটের গডফাদাদের আটক করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা। কেন না তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী নেতারা। এই কারনে স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। গতকাল ৩০ জুলাই ভোররাতে সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার লাপারঘোনা নাফনদীর এলাকায় ২ বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই অবৈধ ঘাটের গডফাদাদের বাড়ি নাফনদীর এলাকার তাই খুব সহজে ইয়াবা গুলো নিরাপদে চলে যায়। এর পর তারা ইয়াবা গুলো টেকনাফ উপজেলার বড় বড় গডফারদের কাছে বিক্রি করে থাকে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারনা। এই ঘাটের সদস্যদের সাথে রয়েছে টেকনাফ উপজেলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত কিছু জনপ্রতিনিধিরা। তারা সুযোগ বুঝে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে উল্টো ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রধান করে বলে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এই অঘোষিত ঘাটকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত সু-কৌশলে মিয়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ মরণ নেশা ইয়াবা নিয়ে আসছে। এই সযোগে এলাকার যুব সমাজরা ইয়াবা ব্যবসায় যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। অন্যতায় তাদের কারনে এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগামীর প্রজন্মকে বাচাঁতে হলে এই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবৈধ ঘাটের নিয়ন্ত্রণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, সাবরাং নয়াপাড়া এলাকায় এই অঘোষিত ঘাটের ব্যাপারে অভিযোগ পেলে অভিযোক্তদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, সাবরাং নয়াপাড়া এলাকার নাফনদীর সীমান্তে আমাদের ২ বিজিবি সদস্যরা রাত দিন পরিশ্রম করে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আটক করতে সক্ষম হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কেীশলে তাদের মাদক গুলো অনুপ্রবেশ করছে। তিনি আরো বলেন, এই এলাকায় অঘোষিত ঘাট রয়েছে তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু অভিযোগ পেলে পাচারকারীরা যতই প্রভাবশালী হউক তাদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা হবে।