চুয়াডাঙ্গা জেলা কালচারাল অফিসারের অপসারণ দাবি
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্য আচরণ ও অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে জেলা কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত থেকে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। তাঁরা শিল্পকলার প্রধান ফটকে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং কালচারাল অফিসারের অপসারণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এ প্রসঙ্গে অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যকরী সদস্য মো. আলাউদ্দীন বলেন, ‘আমরা অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর সাংস্কৃতিক উৎসব করে থাকি। এবারও ৭-১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনব্যাপী উৎসব করছি। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারসহ বিশিষ্টজনেরা। উৎসব আয়োজন সফল করতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতা চেয়ে সভাপতি ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করি। তিনি আমাদের অনুমতি দিয়েছেন। এরপর আমরা কালচারাল অফিসারের কাছে টেবিল ক্লথ, তোয়ালেসহ আনুসাঙ্গিক কিছু জিনিসপত্র আগাম চাইলে তিনি বলেন, এগুলা দেওয়া যাবে না। এর আগে আমরা শিল্পকলার ডায়াচটি মেরামত করে দিতে বললে তিনি বলেন, আমার সময় নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাকে বলেছি প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আসছেন, আমরা তাঁকে জানাব, আপনার এই আচরণের কথা। তিনি তখন আমাদের বলেন- আসুক মন্ত্রী, জানান আপনার মন্ত্রীকে। তার এই ঔদ্ধত্য! তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে প্রত্যেক সময় সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ করেন এবং অসহযোগিতা করেন।’ অরিন্দমের সহসভাপতি কাজল মাহমুদ বলেন, ‘অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন এই উৎসবের আয়োজন করলেও এটা গোটা জেলাবাসীর উৎসব। জেলার কৃষ্টি, কালচার, ইতিহাস, ঐতিহ্য আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই। এ ক্ষেত্রে কালচারাল অফিসারের উচিৎ আমাদের তথা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কর্মীদের সহযোগিতা করা। কিন্তু তিনি যোগদানের পর থেকেই শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে পারস্পরিক যে সহযোগিতার মনোভব, তা বিলীন হতে শুরু করেছে।’ নাট্য সম্পাদক সেলিমুল হাবীব সেলিম বলেন, ‘শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় না থাকলে সাংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব না। বর্তমান কালচারাল অফিসার শিল্পী ও শিল্পের উন্নয়নে কোনো কাজ করেন না বরং সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে কারণে অকারণে খারাপ আচরণ করেন। তাই আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে তাঁর অপসারণ দাবি করছি।’ এ ব্যাপারে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের উৎসবে শিল্পকলার সহযোগিতা চেয়ে একটি আবেদন পেয়েছি। সেটি কালচারাল অফিসারকে দিয়ে মতামত জানানোর জন্য বলেছি। তবে এ নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে তার খারাপ আচরণ করার বিষয়টি দুঃখজনক।’