নিউজ ডেস্ক:
সময়মতো আন্দোলনে নেমে বিএনপিকে ফের ক্ষমতায় নেওয়ার আশা দলের নেতা-কর্মীদের দিয়েছেন খালেদা জিয়া। সেই আন্দোলনের জন্য নেতা-কর্মীদের এখন থেকেই তৈরি থাকতে বলেছেন তিনি।
রোববার ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালেদা বলেন, এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছি, আমি তোমাদের সঙ্গে রাজপথে ছিলাম। এই বিএনপিকে তিনবার ক্ষমতায় এনেছি।
তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ দলকে সুন্দর করে গুছিয়ে …. কোনো গ্রুপিং-লবিং থাকবে না, যারা উপযুক্ত যোগ্য তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে।ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের খালেদা জিয়া বলেন, তোমাদের সেইভাবে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে দেশটাকে রক্ষা জন্য; আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।
তারপর মিলনায়তনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো নেতা-কর্মী যোগ দেওয়ায় মিলনায়তন ছাড়িয়ে আশ-পাশের এলাকাও ভরে যায়।আলোচনা সভা শুরুর আগে আসন নেওয়া নিয়ে দুই দফা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল; তখন নেতাদের হস্তক্ষেপে তা থামে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আল মেহেদি তালুকদার।
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমীরুল ইসলাম খান আলীম উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, আবদুল মান্নান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নাজমুল হক নান্নু, আতাউর রহমান ঢালী, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, আফরোজা আব্বাস, আনোয়ার হোসেইন, হাফেজ আবদুল মালেক, শিরিন সুলতানা, রেহানা আখতার রানু, নিলোফার চৌধুরী মনি, রাশেদা বেগম হীরা, শাম্মী আখতার, মারুফ কামাল খান।
অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ওবায়দুল ইসলাম ও আবদুল লতিফ মাসুম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শনিবার মধ্যরাতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। রোববার সমাবেশের পর সোমবার জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেবেন সংগঠনটির নেতারা।