চুয়াডাঙ্গায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ : টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে গেটের অদূরে পূর্ব শত্রুতার জেরে নাজিম উদ্দিন নামের এক মুহুরীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা করে ঘটেছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় তার নিকট টাকা তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরপরই সদর ফাঁড়ি পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় রেলগেটের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান। জখম নাজিমুদ্দিন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ী হিজরাপাড়ার মৃত আব্দুল বারির ছেলে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নাজিমুদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, বেশ কয়েক মাস যাবত আগে চুয়াডাঙ্গা বড় শলুয়া গ্রামের ইউনুসের ছেলে স্বপন পাসপোর্ট করার জন্য আমার নিকট থেকে এক হাজার টাকা ধার করে। বেশ কিছুদিন পার হলেও স্বপন এই টাকা ফেরৎ দেয়না। পরে নাজিমুদ্দিন তার শ্বশুরবাড়ি বড় শলুয়া গেলে স্বপনের মা’য়ের নিকট টাকার বিষয়ে বলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড় থেকে জমি ক্রয়ের তিন লাখ টাকা টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তার সহযোগী সাইফুলের সাথে নিজ বাড়ি সাতগাড়ীতে ফিরছিলাম। এ সময় স্বপন পূর্বের এক হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ঘাটের অদূরে আসতে বলে। এ সময় আমি ওই স্থানে গেলে স্বপন ও তার এলাকার আজাদের ছেলে সোহাগ ও জৈনকের ছেলে বিপুলসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন আমাকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমার কাছে থাকা তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহিতুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌছায় আমরা। নাজিম উদ্দিন স্বপনের কাছে এক হাজার টাকা পেত। এই টাকা নেওয়ার জন্য সন্ধ্যায় স্বপন নাজিমউদ্দিনকে ফোনে ডেকে নেয় স্বপন। এ সময় বড় শলুয়া গ্রামের স্বপন সোহাগ ও বিপুলসহ কয়েককজন তাকে কুপিয়ে জখম করে। নাজিম উদ্দিনের তিন লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত ছাড়া তাৎক্ষণিক কিছু বলা যাে না।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে। তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিনি বলেন, এখনি কিছু বলা সম্ভব না। তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে। আমরা এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইতোমধ্যে আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, নাজিম উদ্দিনের পিঠে কোপানোর আঘাত রয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। এদিকে আহত নাজিমুদ্দিন চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।