দর্শনার জয়নগরে বিজিবি কর্তৃক ফেনসিডিলসহ মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:দর্শনার জয়নগরে বিজিবি কর্তৃক ফেনসিডিলসহ মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় সন্দিগ্ধ হিজলগাড়ী ক্যাম্পের এএসআই তুহিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তুহিনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া না গেলেও তদন্তের স্বার্থে সাময়িকভাবে তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
এদিকে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকের সন্ধানে মাঠে নেমেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা যাচাইয়ে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’র কাছে জানতে চাইলে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলের মালিক তুহিন নামের কেউ নন। একই সাথে তুহিনের ব্যবহৃত লাল কালো রঙের পালসার (চুয়াডাঙ্গা-ল-১১-১৩২১) মোটরসাইকেলটির কাগজপত্রও জব্দ করেছে তদন্ত কর্তৃপক্ষ। মোটরসাইকেলের মালিককে খুঁজে পেলেই এ ঘটনার প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত করা যাবে; তাই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকের খোঁজে জোরেসোরে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এএসআই তুহিনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার জোর প্রমাণ না মিললেও, দ্রুত সময়ে অপরাধী সনাক্তের জন্য তদন্ত কাজ চলছে; অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ জানান, উদ্ধার হওয়া পালসার মোটরসাইকেলের মালিকানা যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। যেহেতু এ ঘটনায় পুলিশের একজন এএসআই এর নাম এসেছে; তাই পুলিশের মর্যাদার দিকে লক্ষ রেখে তদন্তকালিন সময়ের জন্য ওই এএসআইকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করে অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বিকাল ৫টার দিকে দর্শনা জয়নগর মাঠপাড়ার ইলিয়াস আলীর বাড়ি থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেনসিডিলসহ ১৫০ সিসি লাল রং’র পালসার মোটরসাইকেল যার নং- যশোর-ল-১১-৯৫৩৬ উদ্ধার করে দর্শনা বিজিবি সদস্যরা। এঘটনায় পুলিশের এক এএসআই এর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গুঞ্জন উঠলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহনসহ তদন্তের নির্দেশ দেন।