নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলমান সংকট সমাধানে কিছু ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করেছেন।
শনিবার হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থায়নের বিনিময়ে ১০ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফেরত না পাঠিয়ে সাময়িকভাবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে দেয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। তবে কংগ্রেসের কাছে রাখা প্রস্তাবটি ডেমোক্র্যাট সদস্যরা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সরকারের সেবা কার্যক্রমে আংশিক অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ট্রাম্পের প্রস্তাবটি প্রত্যাখিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চলমান সংকটটি বহাল থাকল।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
সরকারের সেবা খাতের এই অচলাবস্থা ২৯তম দিনে পড়েছে।
অর্থায়ন বন্ধ থাকায় সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মীদের বিনা বেতনে কাজ কিংবা অনেককে ছাঁটাই করতে হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, প্রায় ১০ লাখ অভিবাসীর বহিষ্কারের হুমকি তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যে তরুণরা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, তারাও এর আওতায় পড়বে।
কিন্তু ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তিনি সেজন্য যে ৫শ ৭০ কোটি মার্কিন ডলার চেয়েছিলেন, সমঝোতার প্রস্তাবেও তার সেই দাবি বহাল রয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবকে অগ্রহণযোগ্য বলেছে ডেমোক্র্যাটরা।
ট্রাম্প তার প্রস্তাবে দুই ধরনের অভিবাসন প্রত্যাশীদের সুরক্ষার কথা তুলে ধরেন।
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে কথিত সাত লাখ ‘ড্রিমার’ অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বাস করা দম্পতিদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানরাও আছে। ডেমোক্র্যাটরা এদের বহিষ্কারের ঘোর বিরোধী।
পাশাপাশি ট্রাম্প তার এই প্রস্তাবে আরো তিন লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী, যারা সুরক্ষিত বলয় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকেও নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা ‘আমাদের পরস্পরের মধ্যে আস্থা গড়ে তুলবে। একটি প্রকৃত ও টেকসই অভিবাসন নীতি সংস্কারের জন্য সদিচ্ছা জরুরি।’
ট্রাম্প বলেন, তিনি অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিরাপত্তা দেবেন, তবে এর বিনিময়ে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে প্রয়োজনীয় ৫শ’ ৭০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড় দিতে হবে কংগ্রেসকে।
এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৮০ কোটি মার্কিন ডলার ‘জরুরি মানবিক সহায়তা’ এবং স্থলবন্দরগুলোতে মাদক সনাক্তকরণ প্রযুক্তির জন্য ৮০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছেন।