শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা, আজ মহাসপ্তমী

0
14

 

নিউজ ডেস্ক:ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় দেবীর নিদ্রাভঙ্গের আহ্বানে শুরু হয়েছে বাঙালি সনাতন ধর্মবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। গতকাল শুক্রবার বিহিতপূজার পর দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে মূল দুর্গোৎসবের সূচনা হয়। ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনির শব্দ দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের জানান দিচ্ছে। এ দিন দুর্গতিনাশিনী দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। পাঁচদিনের দুর্গোৎসবের প্রথম দিনে সকাল নয়টার মধ্যে ছিল ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ। সন্ধ্যায় দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগআরতির অনুষ্ঠান। শান্তি, সাম্য আর ভ্রাতৃত্বের অমরবাণী শোনাতে এক বছর পরে শারদ উৎসবে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যে এসেছেন দুর্গতিনাশিনী মহামায়া মা দুর্গা। সার্বজনীন এ উৎসবকে ঘিরে শুরু হয়েছে আনন্দ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা। হিন্দু পুরাণ মতে, মহাসপ্তমীতে ভক্তদের কল্যাণ ও শান্তির আশীর্বাদ নিয়ে হিমালয় নন্দিনী দেবী দুর্গা পূজার পিঁড়িতে বসবেন। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার মহাসপ্তমী। সকালে ত্রিনয়নী দেবীদুর্গার চক্ষুদান করা হবে। এরপর সকালে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা হবে। এভাবে উৎসব চলবে আগামী শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।
দেবী দুর্গা জীবের দুর্গতি হরণ করেন। তিনি শক্তিদায়িনী অভয়দায়িনী। মা দুর্গার কাঠামোতে জগজ্জননী দুর্গা ছাড়াও লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ, সিংহ ও অসুরের মূর্তি থাকে। এছাড়া পেঁচা, শ্বেতহংস, ময়ূর, ইঁদুর ও সবার উপরে শিবের মূর্তি বিদ্যমান। লক্ষী ধনের, স্বরস্বতী জ্ঞানের, গণেশ কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রতীক। মা দুর্গার দশটি হাত ও দশটি প্রহরণ অপরিমেয় বলবীর্যের। সিংহ বশংবদ ভক্তের ও অসুর অশুভ দুর্গতির প্রতীক। দেব সেনাপতি কার্তিক তারকাসুরকে বধ করে স্বর্গভ্রষ্ট দেবতাদের পুনরায় স্বর্গে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। অতন্ত্র প্রহরায় রক্ষা করেছিলেন স্বর্গের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। মা দুর্গা ধরায় আসেন সন্তানদের নিয়ে। একেক সময়ে একেক বাহনে। এবার মা এসেছেন ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে।