মেহেরপুরে ১০ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী ধর্ষণের ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ায় ধর্ষণের শিকার মানসিক প্রতিবন্ধী ১০ বছরের কন্যাশিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবন্ধী ওই শিশুর নানি তহুরা খাতুন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০-এর ৯ (১) ধারায় অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর রফিকুল ইসলামকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। যার নম্বর ১১। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ধর্ষণের শিকার মানসিক প্রতিবন্ধী ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। বিকেলে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই শিশুর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন রেজা তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ রায় বলেন, মামলা রেকর্ড হয়েছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসামি রফিকুল ইসলামকে অতিদ্রুত আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ায় ১০ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে রফিকুল ইসলাম নামের এক অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ধর্ষক রফিকুল ইসলাম ফুঁসলিয়ে কিছু খেতে দেওয়ার নাম করে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর তাকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ শেষে এ কথা কাউকে না বলার জন্য ওই শিশুকে ভয় দেখান। কাউকে বলে দিলে গলা কেটে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন বলে ওই শিশুটি জানায়। বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন একত্রিত হলে রফিকুল ইসলাম এলাকা ত্যাগ করে আত্মগোপন করে। এ সময় বোসপাড়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির শাস্তির আশ্বাস দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকালে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা ও বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।