এবিএস রনি শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি।। শার্শায় জমি চাষের ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার সমস্ত গ্রামের রাস্তায় যন্ত্র দানবেরমত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।রিতীমত ত্রাস সৃষ্টি করেছে এলাকায়।অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। যা দিয়ে জমি চাষ হয় সেই কলের লাঙ্গল এখন জীবন ঘাতি যন্ত্রে পরিনত হয়েছে।এটা অতি পরিচিত একটি কৃষিযান। পূর্বে জমিচাষে ব্যবহার করা হত গরুর লাঙ্গল। কিন্তু যান্ত্রিক যুগে কৃষি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার।এখন জমিচাষ বাদ দিয়ে শার্শার সমস্ত জনপদে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাধাহীন ভাবে।বহন করছে মাটি ও বালি।চলছে গ্রামের অলিগলি দিয়ে। জনজীবন পড়েছে হুমকির মুখে। আতংকিত হয়ে পড়েছে সকল স্তরের মানুষ।প্রশাসনের চােখের সামনে এদের অবাধ চলাচল থাকলেও প্রতিরোধে কার্যত কোন কার্যকারী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।
চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টর,পাওয়ারট্রলি এখন অবৈধ পরিবহন হয়ে গ্রামীণ জনপদে সর্বনাশ ঘটাতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে এখন আতংকিত শার্শার জনপদ ও জনসাধারণ। কৃষির উন্নয়নে এসব ট্রাক্টর আমদানি করা হলেও মালিকরা এগুলো ব্যবহার করছে ইট, বালু, মাটি, কাপড়, কাঠ, তরিতরকারি, ফার্নিচার ইত্যাদি মালামাল পরিবহনের কাজে। ট্রাক্টর ও ট্রলির বেপরোয়া চলাচলে জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে চুরমার করে ধুলায় পরিণত করে দিচ্ছে। কৃষি জমির মাটি কেটে এই পরিবহন দিয়ে ইটভাটায় সরবরাহ করছে। প্রতিনিয়ত জমি খুড়ে মাঠ থেকে বালু এবং মাটি বহন করে নিয়ে যাচ্ছে এলাকার বিভিন্ন ইট ভাটায়।
জানা যায়, দেশের কৃষি উন্নয়ন তথা চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করার জন্য এসব ট্রাক্টর বিদেশ থেকে আমদানির সুযোগ দেয় সরকার। এসব ট্রাক্টর,ট্রলি ইটভাটার মালিক, মাটি ও বালু ব্যবসায়ী, কাঠ ব্যবসায়ী, লোহা ব্যবসায়ী, শিল্প মালিকসহ সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে এটি কৃষিকাজে ব্যবহার না করে তাদের ইচ্ছেমতো পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছে। বর্তমানে এই ট্রাক্টর,ট্রলির সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া ট্রাকের চেয়ে ট্রাক্টরের ভাড়া কম হওয়ায় এর চাহিদাও বেড়েছে বহু গুণ। ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় ২০ থেকে ২৫ বছরের শিশু-কিশোররাও অদক্ষ ভাবে এসব ট্রাক্টর চালাবার সুযোগ পাচ্ছে। বেপরোয়া গতি ও কানফাটা আওয়াজে চলাচলকারী এসব ট্রাক্টরের কারণে ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণ দেখা দিয়েছে। সনদবিহীন ট্রাক্টর ড্রাইভারদের ভয়ে সচেতন মানুষ সার্বক্ষণিক আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। বিশাল চাকার এই কৃষিযান রাস্তায় চলাচলের সময় কার উপর গিয়ে উঠে তা বলা মুশকিল।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কেউ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না বলে দাবি করেছেন এলাকার সচেতন মহল। তাই এলাকার সচেতন মহলের দাবি, সমস্ত কৃষিযান ট্রাক্টর কৃষি জমি চাষাবাদের কাজে আবদ্ধ রেখে জনসাধারণকে নিশ্চিন্ত চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল বলেন ,জনগনের ভোগান্তি হয় এমন কোন কাজ বরদাশত করা হবেনা।জনগনের জান মাল নিরাপত্তায় যথাযথ সব ধরনের কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।