প্রতি সপ্তাহে ১২ শ টাকা সুদ দাবি, বোরকা ব্যবসায়ীর দিতে অস্বীকৃতি
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় শুকুর আলী (৩০) নামের এক বোরকা ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। জখম শুকুর আলী পৌর এলাকার গোরস্থানপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার পার্শ্ববর্তী ঈদগাহপাড়ার মৃত শফিউদ্দিন ড্রাইভারের ছেলে ইমরান হোসেন লেবু তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের পৌর ঈদগাহ ময়দানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জখম শুকুর আলীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। হামলাকারী লেবুকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে জখম শুকুর আলীর মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে বলেও জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইমরান হোসেন লেবু, শুকুর আলী ও শুকুর আলীর ভগ্নিপতি সেলিম হোসেন একসঙ্গে বোরকার ব্যবসা করেন। লেবু ব্যবসায় মাত্র ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি সপ্তাহে ৭ শ টাকা হারে সুদ নেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশের কথা বলে ইমরান হোসেন লেবু তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার শুকুর আলী ও সেলিমকে ঈদগাহপাড়ার ঈদগাহ চত্বরে ডাকেন। তাঁরা সেখানে উপস্থিত হলে ৭ শ টাকার পরিবর্তে প্রতি সপ্তাহে ১২ শ টাকা হারে দাবি করেন লেবু। এতে শুকুর আলী রাজি না হলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে লেবু ধারালো অস্ত্র বের করে শুকুর আলীর ওপর হামলা চালিয়ে তাঁর সমস্ত শরীর উপর্যুপরি কোপে ক্ষতবিক্ষত করেন। শুকুর আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় সেলিম বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আক্রমণ করতে যান লেবু। সেলিম পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।
শুকুর আলীর মা ফরিদা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে সহজ-সরল। তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে সটকে পড়ে লেবু।’ মুমূর্ষু অবস্থায় রক্তাক্ত জখম শুকুর আলীকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জিক্যাল কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, লেবুর বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মামলা আছে। এ হামলার ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়াধীন। লেবুকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।