চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব হওয়ায় জানালার কাচ ভাঙল রোগীর বন্ধুরা। গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
জরুরি বিভাগের অবস্থানরত কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানান, তড়িঘড়ি করে কয়েকজন যুবক সাদমান নামের একটি ছেলেকে নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন এবং ডাক্তারকে তখনই তাঁর চিকিৎসার জন্য বলেন। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মধ্যে অনেক ভিড় থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত ছিলেন। পরে সাদমানের বন্ধুরা জরুরি বিভাগের মধ্যে ডাক্তারের ওপর চিকিৎসা দিতে চাপ সৃষ্টি করেন।
এ সময় চিকিৎসক সাদমানের কাছে তাঁর অসুস্থতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এক্সিডেন্ট করেছেন। ডাক্তার আবার সঠিকভাবে বিষয়টি জানতে চাইলে সাদমানের বন্ধুরা রাগান্বিত হয়ে ডাক্তারের নিকট থেকে প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে বাইরে চলে যান। যাওয়ার সময় তাঁরা জরুরি বিভাগের একটি জানালার কাচে ধাক্কা মারলে জানালার কাচগুলো ঝরে পড়ে এবং তখনই সাদমানকে নিয়ে তাঁর বন্ধুকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন বলেন, কয়েকজন যুবক জরুরী বিভাগে একটি আহত ছেলেকে নিয়ে আসেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার সময়টুকু না দিয়েই বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে তাঁরা চলে যায় যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘জানতে পেরেছি তিন-চারজন যুবক সাদমান নামের একটি আহত ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে যায়। চিকিৎসা দিতে সামান্য দেরি হওয়ায় তাঁরা যাওয়ার সময় তাঁদের মধ্যে থেকে একজন জানালায় ধাক্কা মারলে জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’