চুয়াডাঙ্গায় ‘শতভাগ ক্লিন কুকিং অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে যুগ্ম সচিব সালিমা জাহান
নিউজ ডেস্ক:প্রথাগত রান্নার বিপরীত ধারণা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ‘শতভাগ ক্লিন কুকিং অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের (¯্রডো) হাউসহোল্ড এনার্জি প্ল্যাটফর্ম প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সালিমা জাহান।প্রথাগত রান্নার বিপরীত ধারণা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ‘শতভাগ ক্লিন কুকিং অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের (¯্রডো) হাউসহোল্ড এনার্জি প্ল্যাটফর্ম প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সালিমা জাহান।সেমিনারের উদ্বোধন ঘোষণা পূর্ববর্তী বক্তব্যে সালিমা জাহান বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য ক্লিন কুকিং লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। ‘ক্লিন কুকিং’-এর এই নতুন ধারণা হলো প্রথাগত রান্নার ঠিক বিপরীত। এ পদ্ধতির রান্নায় থাকবে না জ্বালানি হিসেবে কাঠ-কয়লার ব্যবহার, থাকবে ধোঁয়ামুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি একটি রান্নাঘর। এ ছাড়া ব্যয় ও সময় দুটোই বাঁচবে, সর্বোপরি নিরাপদ হবে জীবন।’ তিনি বলেন, ‘রান্না সাদামাটা হলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব অনেক গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই প্রভাব মোকাবিলায় সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। দেশে প্রতিবছর ৪৬ হাজার নারী ও শিশু মারা যায় বসতবাড়ির দূষিত ধোঁয়া ও পরোক্ষ ধুমপানের কারণে। একজন ধুমপানকারী এবং একজন রাধুনীর ফুসফুসের অবস্থা একই দেখা যায়। সাতটি সিগারেট থেকে যে ক্ষতি হয়, আর একবার রান্না করলে সেই সমান ক্ষতি হয়। সনাতন চুলা থেকে যে ধোঁয়া সৃষ্টি হয়, তা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে সরাসরি ফুসফুসে চলে যায়। তাই চুলা ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’ ‘ক্লিন কুকিং’ কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরে যুগ্ম সচিব বলেন, ‘সচেতনতা সৃষ্টি ও এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বেসরকারি সামাজিক সংগঠন এবং যারা এ কার্যক্রম নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আর ক্লিন কুকিংয়ের এক একজন সৈনিক হবেন আপনারা। প্রতিটি জেলায় স্কুলপর্যায়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশু-কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ চলছে। প্রতি জেলায় ১০টি স্কুলে ৫০ জনকে এ কার্যক্রমের অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত করে দেওয়া হয়। এতে করে তারা অন্যদের মধ্যে ক্লিন কুকিংয়ের ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেও সচেতন করতে পারবে।’মূলত, বাংলাদেশের ৮০ ভাগের বেশি রান্নাঘর এখনও নিরাপদ বা ক্লিন কুকিংয়ের আওতায় নেই। এসব অনিরাপদ রান্নাঘরে রান্না করার কারণে ধোঁয়াসহ নানা দূষণে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতিবছর ৭৫ হাজারের বেশি নারী ও শিশু মারা যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এ ‘ক্লিন কুকিং’ বিষয়ে সবার মধ্যে তথা সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ বিভাগের (¯্রডো) হাউসহোল্ড এনার্জি প্ল্যাটফর্ম প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।সেমিনারের সার্বিক বিষয়বস্তু নিয়ে সহকারী কমিশনার হাবিবুর রহমানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে ‘ক্লিন কুকিং’ বিষয়ক আলোচনায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, মেডিকেল অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান, জৈষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল ও সাতক্ষীরার মোস্তফা আহমেদ দীপু। এরপর উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা অফিসার নিখীল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার সাহা, সাংবাদিক শাহ আলম সনি, বেসরকারি সামাজিক সংগঠন রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম ও মৎস্য কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা।এর আগে উন্নত চুলা ও জ্বালানির ওপর ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া আধুনিক ও নিরাপদ পদ্ধতিতে রান্নার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা আত্মবিশ্বাস কুক স্টোভ ও বিশ্বাস পেলেট (জ্বালানি) নিয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ হাসান এবং রিটেইনড হিট কুকার নিয়ে আলোচনা করেন বেসরকারি সামাজিক সংগঠন খেয়ার নির্বাহী পরিচালক জ্যোৎ¯œা আরা।