নিউজ ডেস্ক:
অ্যান্টার্কটিকার এই দ্বীপে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের রহস্যময় ঘটনা ঘটে থাকে। যেমন এই দ্বীপের হিমবাহ থেকে পানি নয়, নির্গত হয় রক্ত। রক্তাক্ত জলপ্রপাতের রহস্য এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অ্যান্টার্কটিকার এই রক্তের নদীকে প্রথমবার ১৯১১ সালে আবিষ্কার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ভূতাত্তিক গ্রিফিথ টেলর। প্রথমে তিনি মনে করেন এই লাল রঙ আণুবীক্ষণিক লাল শেত্তলাগুলি জন্য হয়েছে।
যদিও এই তত্ত্ব ২০০৩ ভুল প্রমাণিত হয়। একটি নতুন গবেষণায় পাওয়া যায়, এই পানিতে আয়রন অক্সাইডের মাত্রা বেশি ছিল। অক্সিডাইস্ড আয়রনের কারণে এই পানির রঙ লাল।
গবেষকরা আবার একবার এই রহস্যময় জলপ্রপাত থেকে নির্গত লাল পানিকে নিয়ে একটি তত্ত্ব সামনে এনেছেন। কলোরাডো কলেজ এবং আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় জানা গেছে এই পানি একটি বিশালাকার তালাব থেকে আসছে। সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই তালাব বিগত কয়েক লাখ বছর ধরে বরফের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।
পানি বরফে পরিণত হওয়ার সাথে তাপ ছাড়তে শুরু করে। এই তাপ চারিদিকে জমে থাকা বরফকে গরম করে দেয়। এই কারণে এই রক্ত জলপ্রপাত থেকে অবিরাম পানি পড়তে থাকে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, অ্যান্টার্কটিকা সবসময় রহস্যময় কেন্দ্র রূপে পরিচিত। এখানে হাড় হিম করা ঠান্ডা পড়ে। সেই কারণে এখানে শুধুমাত্র বিজ্ঞানী ও পেঙ্গুইন ছাড়া আর কোনো প্রাণ নেই।
আরেকজন গবেষকের মতে অ্যান্টার্কটিকাতে লুকিয়ে রয়েছে একটি গোপন শহর। যা অ্যাটলান্টিসের হারিয়ে যাওয়া শহরও হতে পারে।