নিউজ ডেস্ক:দর্শনায় যুবলীগের কর্মী পল্টু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার রিমান্ড শেষে গতকাল শুক্রবার তাঁদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামিরা হলেন মান্নান, তোতা, দিপু, বাংলা, আলম, সোহেল ও আশিক।
জানা যায়, ২৩ আগস্ট দর্শনা পুরাতন বাজার রেল ইয়ার্ডে যুবলীগের কর্মী পল্টুকে হত্যার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আ. মান্নান খান, শেখ আসলাম আলী তোতাসহ সাতজনের কাছ থেকে তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মহব্বত হোসেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিচার বিশ্লেষণ করে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজেদুর রহমান এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় বাদী পক্ষের হয়ে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. সেলিম উদ্দীন।
পুলিশ জানায়, আদালতের আদেশ অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার রিমান্ডের জন্য ওই সাত আসামিকে জেলহাজত থেকে দামুড়হুদা মডেল থানায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে গতকাল শুক্রবার আসামিদের আবারও জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আবারও মানববন্ধন কর্মসূচি নেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে নিহত পল্টুর পরিবার।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট পূর্বশত্রুতার জের ধরে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে যুবলীগের কর্মী নঈমউদ্দিন আহম্মেদ পল্টুকে (৩৫) কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ফরজ আলীর ছেলে মন্জুর (৩৪) মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। এ ঘটনায় নিহত পল্টুর বড় ভাই মঈনউদ্দীন বাদী হয়ে পরিদন ২৪ আগস্ট ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতানাম আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর এজাহারভুক্ত আসামিরা চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।