হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কক্সবাজার প্রতিনিধি::
দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজারের টেকনাফ। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সারা দেশের ন্যায় টেকনাফ জুড়ে নেমে এসেছে নীরবতার ছায়া।
বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের যে দাপট চলছে বাংলাদেশেও তার আঘাত লেগেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার আগামী ৪এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এই সাধারণ ছুটি চলাকালে জনসাধারণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরো পর্যটন নগরী টেকনাফ জুড়ে ছোট-বড় সব সড়কেই এখন যানবাহন শূন্য। এমনকি পাড়া-মহল্লার রাস্তা, গলি পথেও নেই কোন রিক্সা বা ছোট যানবাহন। শুধু যানবাহন নয় সড়কগুলো হয়ে পড়েছে জনশূন্য। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট সহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
টেকনাফ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ শাপলা চত্বর, ঝর্ণাচত্তর, জিপ স্টেশন, প্রধান সড়কগুলোর মধ্যে টার্মিনাল এলাকা, ট্রানজিট ঘাট এলাকা ছিল যানবাহন ও জন্যশূণ্য। নাফ নদী কিংবা বঙ্গোপসাগরের পশ্চিমাংশে জেলেদের হাতে নেই জাল, মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলার। এই সবকিছু মিলে যেন প্রকৃতির এক নিদারুণ লীলাখেলা।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত ২৪ মার্চ সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও বার্তায় বৃহস্পতিবার ২৬ মার্চ থেকে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল করছে না। তাছাড়া পর্যটন নগরীর সড়কগুলোও জনমানব শূন্য অবস্থায় রয়েছে।
পর্যটন নগরী টেকনাফে সরকারের এই ঘোষণা মেনে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। সড়কগুলোর পাশাপাশি মার্কেট, শপিংমল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া পাড়া-মহল্লার দোকানপাট বন্ধ এবং মহল্লার রাস্তায় কোন যানবাহন চলছে না। কোন কোন এলাকায় দু’একটি মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে। পাশাপাশি অল্প রিকশা, টমটম দেখা গেলেও যাত্রী নেই বললেই চলে।