নিউজ ডেস্ক:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) তথা মোবাইল ব্যাংকিংকে জনপ্রিয় ও সম্প্রসারণ করার জন্য সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চার্জ সাধারণভাবে এজেন্টের অংশ, মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারের ইউএসএসডি মূল্য এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অংশ -এ তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।
বর্তমানে ইউএসএসডি মূল্য এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অংশ কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এ দুটি চার্জ কমানো সম্ভব হলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার চার্জ কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
সংসদের ১৮তম অধিবেশনে মঙ্গলবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। একই প্রশ্নকর্তার অপর প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার জন্য নূন্যতম ১০ টাকা জমায় ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ১৭০ লাখের বেশী। এ অ্যাকাউন্টে সঞ্চয়ের পরিমাণ ১৩শ’ কোটি টাকা।
৩ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার
নিজাম উদ্দিন হাজারীর (ফেণী-২)প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ না করে পরিশোধ করেছে ৩ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা, যা বাজেটে ঘোষিত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকার তুলনায় কম হারে ঋণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমন সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা সৃষ্টি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিগত বছরগুলোতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋণের এ প্রবৃদ্ধি দেশের বেসরকারি খাতের উৎপাদনমুখী উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়ন এবং কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
অন্যদিকে বিগত বছরগুলেতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ (নীট) গ্রহণ হ্রাস পেয়েছে।
প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ৭ দশমিক ৪ শতাংশ
সরকার দলীয় সদস্য মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী আরও জানান, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মেকাবেলার জন্য সরকার বেশকিছু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা বিগত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এপ্রিল পর্যন্ত রেমিটেন্সের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন ডলার
মামুনুর রশীদ কিরনের (নোয়াখালী-৩ ) লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিটেন্সের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেশী।
বেসরকারী ব্যাংকের সংখ্যা ৪৯টি
চট্টগ্রাম -১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যরত বেসরকারী ব্যাংকের সংখ্যা ৪৯টি। এবং চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সরকোরী বেসরকারী ব্যাংকগুলো কৃষকদের মধ্যে ২ হাজার ৭৬০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে।