দর্শনায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময়
নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদার দর্শনায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল-আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালকসহ মোট আহত ২৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ৯ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেল চালক সালউদ্দীনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে দামুড়হুদা-দর্শনা সড়কে লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসের সন্নিকটে ওই দূর্ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। পূর্ব নির্ধারিত জনসভায় চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকাসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক জনসভায় যোগ দিতে দুপুরের পরপরই রওনা হয়। আলমসাধু, নসিমন, করিমন, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে নেতাকর্মীরা সভায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের ছুটিপুর গ্রাম থেকেও বেশ কিছু নেতকর্মী আলমসাধুযোগে দর্শনায় যাচিছল। দুপুর আড়াইটার দিকে দল বেঁধে যাওয়ার সময় দামুড়হুদা-দর্শনা সড়কে লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসের সন্নিকটে পৌছুলে আলমসাধু চালক ছুটিপুরের গোলামের ছেলে ফরজ আলী (১৮) বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পেছনে থাকা অপর একটি আলমসাধুর চালক ছুটিপুরের মৃত পাতানের ছেলে মনিরুল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়নের দূর্লভপুরের লাল্টু মিয়ার ছেলে সালাউদ্দীন (২৭) এবং মোটরসাইকেল আরোহি চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটির আইনুল ইসলামের ছেলে বাহাউদ্দীন (২৩) গুরুতর আহত হয়। তারা দু জনেই বাংলা লিংক কোম্পানীতে চাকরি করে। তারা অফিসের কাজ শেষে জীবননগর থেকে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন। অপর দিকে দ্ইু আলমসাধুর চালক ছুটিপুরের গোলামের ছেলে ফরজ আলী (১৮), অপর আলমসাধুর চালক মৃত পাতানের ছেলে মনিরুল (৩৫), আলমসাধুর যাত্রী ছুটিপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মাহাবুল ইসলাম ওরফে মাগরীব (৩০), একই গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৮), মৃত ফজল বিশ্বাসের ছেলে হাতেম আলী (৪৫), নজরুল ইসলামের ছেলে রাজু (২৩), মৃত জামাত আলীর ছেলে জান্নাতুল (৩৮), মৃত আওলাদ হোসেনের ছেলে জিন্নাত আলী (৪০), ইউসুফ আলীর ছেলে মোক্তার হোসেন (৩০), রবিউল ইসলামের ছেলে টেলিসামাদসহ (৩০) মোট ২৩ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মনিরুল, রাজু, জান্নাতুলকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (চিৎলা হাসপাতালে) এবং মাহাবুল ওরফে মাগরীব, হাবিবুর, ফরজ আলী, হাতেম, জিন্নাত, মোক্তার, টেলিসামাদ, মোটরসাইকেলচালক সালউদ্দীন ও আরোহী বাহাউদ্দীনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাালে ভর্তি করা হয়। সালমসাধুর যাত্রী রাজুর ৩ টি দাঁত ভেঙ্গে গেছে, জান্নাতুলের ডান পা কেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। মনিরুলের মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল চালক সালউদ্দীনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া জনসভা শেষে সন্ধ্যায় আলমসাধুযোগে বাড়ি ফেরার পথে জয়রামপুরে পৌছুলে দুই আলমসাধুর পাশাপাশি বেঁধে আলমসাধু উল্টে পাটাচোরা গ্রামের আজমত আলীর ছেলে মোস্তফা কামাল (২৫) গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিকে দূর্ঘটনায় আহতদের দেখতে চিৎলা হাসপাতালে ছুটে আসেন দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী, যুবলীগ নেতা তরিকুল রিপনসহ প্রমূখ। নেতৃববৃন্দ আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং সমবেদনা জানান।