মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে এগারটার দিকে জেলা রির্টার্নিং অফিসার এ নির্দেশনা দেন। স্থগিত হওয়া কেন্দ্র দুটি হচ্ছে- ৭নং ওয়ার্ডের সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয় ১ ও ২নং কেন্দ্র। বাকি ১৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
প্রথম দিকে নিরাপত্তার কথা বলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করেন ওই দুটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সুব্রত কুমার পাল ও একেএম শাহিন কবির। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলে ওই কেন্দ্রে নারী-পুরুষ ভোটাররা আনন্দ মুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করছিলেন। প্রায় তিন ঘন্টা পর নিরাপত্তার কথা বলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেন স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার। পরে দুপুর পৌনে বারটার দিকে ব্যালট বাক্স, ব্যালট ও ভোটের সরঞ্জাম গুছিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে নেওয়া হয়। কেন্দ্র থেকে ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের রির্টার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান বলেন, গতরাতে কতিপয় ব্যক্তিরা ব্যালট ছিনতাই করে সিল প্রদান করে। সকাল দশটার দিকে দুটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারবৃন্দ এমন লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ভোট গ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। রাতে ব্যালট ছিনতাই হলে সকাল দশটায় কেন অভিযোগ দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এ সময় লেগেছে।
তবে ভোট স্থগিত হওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানান কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটাররা। ভোট গ্রহণ চালুর দাবিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে। তবে মেয়র প্রার্থীদের কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীক পেয়েছেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটন, বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর বিশ^াস, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও সাংস্কৃতিক কর্মী নিশান সাবের প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।