ওভার লোডের কারনে পাকিস্তান আমলের ব্রিজে ফাটল
নিউজ ডেস্ক: মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের আলমপুর নামক স্থানে কাজলা নদীর উপরে পাকিস্তান আমলের ব্রিজে ফাটল দেখা দেওয়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত শুক্রবার রাত থেকে ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলাকালীন সময়ে দ্রুত গতির এসবি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যার ফলে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরের ঠিকাদার জহিরুল মিয়ার ৬০ টনের পাথর বহন করায় ১৯৬৪ সালে পাকিস্থান আমলে নির্মিত আলমপুর ব্রিজটির মাঝখানে ফাটল ধরে বসে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের পক্ষে থেকে সড়কের দুপাশে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ ঘোষণা দিয়ে সাইন বোর্ড দেওয়া হয় ভারি যানবহন চলাচলে নিষেধে। কয়েকদিন আগে মেহেরপুরের বিশিষ্ট ঠিকাদার জহিরুল মিয়ার ৬০ টন ওজনের পাথরের একটি ট্রাক ব্রিজটির উপর দিয়ে যাওয়ায় ব্রিজের মাঝখান দিযে ফাটল ধরে দেবে যায়। ফলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে ব্রিজটি। তাই জানমালের ক্ষতি থেকে বাঁচতে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতোমধ্যে বেইলী ব্রিজ বসানোর কাজও শুরু হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কটি ৫ টন ওজন বহন করার ক্ষমতা থাকলেও সেখানে ৫০/৬০ টন ওজনের পাথর বোঝায় ট্রাক চলাচল করছে। যে কারণে ব্রিজটি ফাটল ধরে বসে গেছে। প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান আরো জানান, বসে যাওয়া ব্রিজের উপর আপাতত বেইলী ব্রিজ নির্মাণ করে যান চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। গতরাতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। শনিবারের মধ্যে কাজ শেষ করার ইচ্ছা থাকলেও গত রাতে এসবি পরিবহনের দ্রুত গতির একটি বাস আবারো বেইলী ব্রীজের সাথে দুর্ঘটনায় পরে। ফলে আবারো দেরি হচ্ছে বেইলী ব্রিজ বসানোতে। এছাড়া নতুন ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপর মহলে লেখা হয়েছে। বরাদ্দ দিলে নির্মাণ করা শুরু হবে। ৬০ টন ওজনের পাথরের ট্রাক কেন নিয়ে আসা এবং ব্রীজের ক্ষতি করার অপরাধে ঠিকাদার জহিরুল মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাজ সড়ক করে দেওয়া কিংবা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া যে সড়কে ভারী যান চলাচল নিষেধ। বাকি কাজ পুলিশ প্রশাসনের। এদিকে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের হাজার হাজার যাত্রী বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
গাংনী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, সড়কে খুব দ্রুত যান বহন চলাচল শুরু হবে। তবে ভারী যানবহন চলাচল করতে দেওয়া হবে বেইলী ব্রিজ দিয়ে।
গতকাল শনিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আলমপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কটি একটি গুরুত্বপূণ সড়ক। তাই সড়কে চলাচলরত সকল যানবহন যাতে ভালোভাবে যেতে পারে তার জন্য বেইলী ব্রীজ বসানো হচ্ছে। আশা করি আগামীকাল থেকেই সাধারণ পরিবহণ চলাচল করতে পারবে। এ সড়কে এখন থেকে কোন ভারী যান বহন যেমন, পাথর, বালু, রড সিমেন্টসহ অন্যযে কোন ভারী যান চলাচল করতে পারবে না।