বিনা কারণে বদলি ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে
নিউজ ডেস্ক:বিনা কারণে বদলি ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন নকল নবিশরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলার নকল নবিশরা জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। নকল নবিশরা জানান, মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রার সুখরঞ্জন রায় চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবসে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সাতজন নকল নবিশকে অন্যত্র বদলি করায় মেহেরপুরের নকল নবিশরা মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন।বিনা কারণে বদলি ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন নকল নবিশরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলার নকল নবিশরা জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। নকল নবিশরা জানান, মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রার সুখরঞ্জন রায় চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবসে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সাতজন নকল নবিশকে অন্যত্র বদলি করায় মেহেরপুরের নকল নবিশরা মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন। মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রার সুখরঞ্জন রায় তাঁর চাকরি জীবনের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার মেহেরপুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার আগেই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গাংনী উপজেলা নকল নবিশ হাফিজ আল শামস, আবুল কালাম আজাদ ও সাদিয়া সুলতানাকে মুজিবনগরে। মুজিবনগরের আনোয়ার জাহিদকে গাংনী এবং ববিতা, আলিয়া সিদ্দিকা ও হাফিজুর রহমানকে মেহেরপুরে বদলির আদেশে স্বাক্ষর করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই অফিস থেকে সটকে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে নকল নবিশরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে তাঁরা জেলা রেজিস্ট্রারের কক্ষ ঘেরাও করে অবস্থান গ্রহণ করেন। এ সময় নকল নবিশ রোজিফা খাতুন বলেন, ‘জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন, শহিদুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলামের সহযোগিতায় অবৈধভাবে ৬-৭ জন নকল নবিশ নিয়োগ করেছিলেন রেজিস্ট্রার সুখরঞ্জন রায়। এ জন্য আমরা নকল নবিশরা তীব্র প্রতিবাদ করেছিলাম।‘ নকল নবিশ লিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা ৫১ জন মেহেরপুরে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত আছি। এরপরও আরও কয়েকজনকে গাংনী ও মুজিবনগর থেকে সদরে বদলি করা হয়েছে। যেখানে নকল নবিশের কোন প্রয়োজন নেই সেখানে সুখরঞ্জন রায় জোর করে বদলি করেছেন।’ এ ছাড়াও সাব রেজিস্ট্রারের অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াহেদকে বদলি করা হয়েছে জেলা কার্যালয়ে। আজ তাঁর যোগদান করার কথা। কিন্তু যোগদান করতে এসে তিনি দেখেন জেলা রেজিস্ট্রারের কক্ষ তালাবদ্ধ। মেহেরপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সদরে নকল নবিশ এমনিতেই বেশি। সেখানে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অতিরিক্ত নকল নবিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কোনো রকম ফেয়ারওয়েল ছাড়াই জেলা রেজিস্ট্রার আজ শেষ দিনে চলে গেছেন।’