মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবসে হামলা চালিয়ে করে দিয়েছে যুবলীগের নেতা কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সভা চলাকালে যুবলীগ নেতা কর্মীরা গাড়ি ভাংচুর ও গুলি বর্ষন করে এমনটি অভিযোগ বিএনপির। এসময় অফিসের নীচে থাকা দু’টি মোটর সাইকেলে ভাংচুর করা হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপে অফিসের জানালার গ্লাাস ভেঙ্গে যায়। হামলার সময় অফিসের ভেতরে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনসহ নেতাকর্মীরা আটকে পড়েন। মোশাররফ হোসেন পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলেও অভিযোগ করেন আমজাদ হোসেন।পরে পুলিশের সহায়তায় নেতার্কীরা নিরাপদে চলে যায়। এসময় বিএনপির অন্তত ৫ নেতা কর্মী আহত হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন জানান, গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে শান্তিপূর্ন পরিবেশে নেতা কর্মীদের সভা চলছিলো। এসময় গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা ৩ দফায় হামলা চালায়। এসময় মোশাররফ হোসেনর লাইসেন্সকৃত পিস্তুল থেকে পরপর ২ রাউন্ড গুলি করা হয়। এসময় মটরসাইকেল ভাংচুরের পাশাপাশি বিএনপি কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এসময় পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা,বামুন্দী ইউপি বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেন সহ ৪ জন আহত হয়।
গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন গুলির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন যুবলীগের বদনাম করার জন্য তাদের লোক দিয়ে উপরে গুলি ছুড়েছেন। এটা একটি ষড়যন্ত্র । নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা অফিসের জড়ো হয়। এর প্রতিবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তারা মিথ্যা অভিযোগ করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করছে।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান,পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। গুলি বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।