আন্দুলবাড়ীয়ায় মাটিভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় জখম নারীর মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক:আন্দুলবাড়ীয়ায় ইটভাটার মাটি ভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় গুরুতর জখম শরীফা খাতুন অবশেষে মারা গেছেন। গত রোববার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দু’মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার লাশ রাত ১২টার দিকে আন্দুলবাড়ীয়া রাজধানীপাড়ার বাড়িতে এসে পৌছাঁলে ছেলে, মেয়ে ও স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় তার লাশ আন্দুলবাড়িয়া খাজাঁ পারেশ সাহেবের রওজার ঈদগা ময়দানে নামাজে জানাযা শেষে রওজার গোরস্থানে দাফন করা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল আন্দুলবাড়ীয়া রাজধানীপাড়ার মৃত রইচ আলীর স্ত্রী ছকিনা খাতুন (৭০), ছেলে সেলিম উদ্দিন (৪২), শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রিনা খাতুন (৩৭), জহির হোসেনের স্ত্রী রফিকা খাতুন (৩৫), রইচ উদ্দিনের মেয়ে শরীফা খাতুন (৫৫) সকালের দিকে ম-ল পাড়ার শামছের আলীর ছেলে মিঠুনের মিশুকযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ইউনিয়নের ডুমুরিয়া সড়কের চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে দেহাটি পিয়াস ব্রিক্সের মাটি ভর্তি ট্রাক্টর ধাক্কা দেয়। ট্রাক্টরের ধাক্কায় মিশুক উল্টে চালকসহ ৬ যাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে শাহাপুর ক্যাম্প পুলিশ ও উপস্থিত জনতা আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিতসক আহত সেলিম, রিনা খাতুন, রফিকা খাতুন ও মিঠুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুত্বর আহত ছকিনা খাতুন ও শরীফা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর আড়াইশ বেড হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে গুরুত্বর আহত শরীফা খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিতসক তাকে উন্নত চিকিতসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার তার মৃত্যু ঘটে।