নিউজ ডেস্ক:
পৃথিবীতে বোধহয় এই একটা বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই যে, মানুষ মরণশীল। তবে মানব সভ্যতার উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু।
কিন্তু মানুষের জীবদ্দশার একটা সীমারেখা রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, মানুষের সর্বোচ্চ আয়ুর সীমারেখা আবিষ্কার করতে পেরেছেন। নেদারল্যান্ডসে পরিচালিত নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, একজন নারীর সর্বোচ্চ আয়ু হতে পারে ১১৫.৭ বছর। পুরুষের ক্ষেত্রে তা সামান্য কম, ১১৪.১ বছর।
গত ৩০ বছরে নেদারল্যান্ডসে মারা গেছে এমন ৭৫ হাজার মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে তিলবার্গ এবং রটারডামের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই মানুষের আয়ু ক্রমাগত বেড়ে চলছে। অনেক রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতির কারণেই মানুষের আয়ু বেড়েছে। তবে আয়ু বেড়ে চলার এ ধারা কি অনন্তকাল ধরে চলবে? উত্তরে বিজ্ঞানীরা বলছেন, না।
মেডিকেল এক্সপ্রেসকে গবেষণার অন্যতম একজন বিজ্ঞানী অধ্যাপক জন ইনমাহ বলেন, অবশ্যই মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেন্টেনেরিয়ানদের আয়ু খুব বেশি বাড়ছে না। বিশেষ করে সুপার-সেন্টেরিয়ানদের অর্থাৎ ১০৫ থেকে ১১০ বছর ব্যক্তিদের আয়ু খুব বেশি আর বাড়ছে না। ১১৫ বছর অতিক্রম করতে দেখা যাচ্ছে না।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরাও তাদের এক গবেষণায় জানিয়েছিলেন যে, মানুষের সর্বোচ্চ আয়ু হতে পারে ১১৫ বছর।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বয়সি মানুষ ছিলেন ফরাসি নারী জেন লুইস কেলমেন্ট, ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করা এই নারী ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার এই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবেন কিনা, তা অজানা। তবে অধ্যাপক জন ইনমাহ বলেন, তার গবেষণাপত্রটি আগামী মাসে প্রকাশিত হবে, যেখানে দীর্ঘ জীবনযাপনের রহস্য প্রকাশিত হতে পারে।