নিউজ ডেস্ক:
নীল তিমির থাবায় আতঙ্কে গোটা ভারত। সম্প্রতি ব্লু হোয়েল গেমের ফাঁদে পা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক কিশোরও।
ক্রমেই গোটা দেশে নীল তিমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। আর তাই এই গেমকে বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার। গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, মাইক্রোসফট এবং ইয়াহুর মতো জনপ্রিয় সোশাল সাইটগুলি থেকে ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ গেমটির লিঙ্ক মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। যত শিগগিরই সম্ভব এ কাজ করতে বলেছে প্রশাসন।
জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট দেশটির তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে এই সব ওয়েবসাইটগুলির কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, ভারতে ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ গেম খেলতে গিয়ে কিশোরের আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছে। সে কারণে প্রতিটি ওয়েবসাইটকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে যাতে এই ভয়ংকর গেমের সমস্ত লিঙ্ক সরিয়ে ফেলা হয়। সেই সঙ্গে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমন সব ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ গেম মুছে ফেলতে বলা হয়েছে।
কী এই ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ?
আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ। কিন্তু খুব সহজেই কাউকে বশীভূত করতে পারে। এমনই একটি অনলাইন গেম ‘কিলার হোয়েল’। মোট ৫০টি চ্যালেঞ্জ। প্রথমে ভোর ৪টায় কোনো ভয়ের সিনেমা দেখা। তারপর ক্রমে কখনো হাত কেটে ছবি আঁকা, কারও সঙ্গে কথা না বলা, ছাদের একেবারে কোণে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এবং সব শেষে ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করা। শুধু চ্যালেঞ্জে অংশ নিলেই হবে না, তার প্রমাণও দিতে হবে প্রতি পদে। সব কর্মকাণ্ড ভিডিও তুলে প্রমাণ হিসেবে পাঠাতে হবে।
ইতিমধ্যে ইউরোপ ও রাশিয়ায় মারাত্মক এই গেমের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদের বেশির ভাগই কিশোর-কিশোরী। এই গেমের উৎপত্তি রাশিয়ায়। সেখান থেকে সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছরের শুরুতেই এই গেমটি যিনি তৈরি করেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করে রুশ পুলিশ। কিন্তু সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে গেমটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই লিঙ্ক পাঠিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের এই চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহিত করেছে। আর তাতেই বাড়ছে আতঙ্ক। সম্প্রতি পুণে ও ইন্দোরের দুই কিশোরকে আত্মঘাতী হওয়া থেকে কোনোক্রমে রক্ষা করা গিয়েছিল। কিন্তু ‘ব্লু হোয়েল গেম’ এর মরণকামড় থেকে বাঁচানো যায়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের কিশোরকে। নীল তিমির নেশা থেকে কিশোর কিশোরীদের মুক্ত করতেই এই কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন