শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: বেনাপোল চেকপোস্টে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর শরীফকে নিরস্ত্র করাসহ খুলনা রেঞ্জে ক্লোজড করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে তাকে ক্লোজড করার খবর আসার পর পরই তিনি রাতেই বেনাপোল ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব বুঝে দিয়ে খুলনায় চলে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশনের এক এসআই এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডিআইজি খুলনা সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। অন্যদিকে, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের অন্যান্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও অনুরূপ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার বেলাল চৌধুরী বলেন, এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। পুলিশের এ রকম ইতিবাচক ভূমিকায় তাদের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হলো। এর দ্বারা আবারো প্রমাণ হলো সরকার ‘হোল অব দি গভর্নমেন্ট’ পদ্ধতিতে কাজ করছে। যেকোনো সদস্য যে বাহিনীর হোক না কেন উশৃঙ্খলতার স্থান বা সমর্থন কেউ করে না।
তিনি জানান, কাস্টমসেরও অনুরূপ বিভাগীয় তদন্ত চলছে। বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেন এই কমিটির প্রধান। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কাস্টমসের কর্মকর্তাদের যদি দোষী পাওয়া যায় তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস-ইমিগ্রেশন ভবনে গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভারত থেকে আসা ২ জন পাসপোর্টযাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও কাস্টমস কমকর্তাদের মধ্যে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ কাস্টমস কর্মকর্তা আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেনাপোলে বিক্ষোভ সমাবেশ, কালো ব্যাচ ধারণ ও মানববন্ধন করেন।
এ সময় আমদানি-রফতানিসহ কাস্টমসের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কাস্টমসের ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিবাদে বন্দর রক্ষা কমিটিও বিক্ষোভ করে বেনাপোলে।
এ ঘটনায় সারাদেশে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সুষ্ঠু বিচার না হলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ারও হুমকি দেন। এতে একাত্মতা জানায় বিসিএস কাস্টমস এন্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশে কাস্টমস এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট তৃতীয় শ্রেণী নির্বাহী কর্মচারী সমিতি।