নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি গ্রামে রাস্তার মাটি কাটা নিয়ে ননদের সাথে মারামারি করে জেলেহার খাতুন (৩৭) নামের এক গৃহবধূ গুরুত্বর জখম হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জখম ওই গৃহবধূ বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আলী হোসেন মালিতার স্ত্রী। এ ঘটনায় ননদের ছেলেসহ কয়েকজনকে ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে আহত জেলেহার খাতুনের দেবর মিঠু। খবর পেয়ে বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, ধর্ষণ চেষ্টার কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি বলেও নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ঝাঝরি গ্রামের রাস্তার মাটি নেয়াকে কেন্দ্র করে জেলেহার খাতুন ও তার ননদ ছামেনা খাতুনের সাথে বাকবন্ডিতা হয়। একপর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ছামেনা খাতুন জেহেলার খাতুনের শরীরের বিভিন্নস্থানে কামড়িয়ে আহত করে। এ সময় ছামেনা খাতুনের ছেলেসহ আশেপাশের কয়েকজন এগিয়ে আসে। পরে তারা জেহেলার খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত জেলেহার খাতুনের দেবর মিঠু বলেন, রোববার সকালে এলাকার আবুল হোসেন খোকার দু’ছেলে সাব্বির (২৫), সজিব (৩০), বাক্কার ছেলে নাসিম (২২) ও রকিমের ছেলে উসমান আমার ভাবিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়রা গেলে তারা সটকে পড়ে। তবে মাটিকাটা নিয়ে মারামারির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না, তাই বলতে পারবো না। তিনি আরও বলেন, লোক মারফতে যা শুনেছি তাই বলেছি। তা ছাড়া ওরা আমাদের বিপক্ষ রাজনীতি করে।
আহত জেলেহার খাতুন বলেন, রাস্তার মাটি নিয়ে আমার ননদসহ সজিব, নাসিম, উসমান, সাব্বির আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আফজালুল হক বলেন, মাটি কাটা নিয়ে ভাবি আর ননদের মারামারি হয়েছে। তার শরীরে যে আঘাত দেখেছি সেগুলো কামড়ের দাগ। তাছাড়া কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, এমন কোন ঘটনা আমি এখনো শুনিনাই। কোন অভিযোগও পায় নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো বলে জানান তিনি।
এদিকে, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ফাসিয়ে দেবার হুমকি ও পুলিশের ভয়তে অভিযুক্তদের বাড়ি ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। জেলা যুবদলের সদস্য সজিব বলেন, আমি ঘটনাস্থলে মারামারি ঠেকাচ্ছিলাম। আমি বিপরীত দলের রাজনীতি করি। তাই আমার নামে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাটি কাটা নিয়ে ননগদের সাথে মারামারি হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ঘটনার পর আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।