এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১ স্কুল শিক্ষকের মেয়ের সাথে স্কুল ছাত্রের ভালবাসার অপরাধে ১০ শ্রেণির ছাত্র উজ্জ্বলকে রশিদিয়ে বেঁধে মাথার চুল অর্ধ নেড়া করে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
শতগ্রাম ইউনিয়নের ঝাড়বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধুলাউড়ি কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাহেদ আলী মাস্টারের বাড়ীর প্রাচীর টপকে ২৪ মে বুধবার গভীর রাতে রাঙ্গালীপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র ঝাড়বাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন উজ্জ্বল (১৫) প্রবেশ করে জাহেদ আলী মাস্টারের মেয়ে মাসুমার ঘরে প্রবেশ করে। মেয়েটির চিৎকার করলে বাড়ীর লোকজন টের পেলে উজ্জ্বল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে ধরে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে অর্ধ নেড়ে করে দেয়। জাহেদ আলী মাস্টার তার বাড়ীতে সংবাদ দিলে উজ্জ্বলের নানা স্থানীয় আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম মেম্বার, বড়ভাই মোঃ খোকন আলী ঘটনা স্থলে পৌচে ভুল স্বীকার করে ছোট ভাই উজ্জ্বলকে বাড়ী হতে নিয়ে আসে এবং ২৬ মে গভির রাতে উজ্জ্বলকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সংবাদ পেয়ে, ২৯ মে সন্ধ্যায় সরজমিনে গেলে জানাজায়, উজ্জ্বল দীর্ঘদিন ধরে জাহেদ আলী মাস্টারের মেয়ে মাসুমাকে উক্ত্যক্ত করত। যার কারনে প্রাইভেট শিক্ষক আসগর আলী, বিকাশ চন্দ্র রায়, ইয়াকুব আলী উজ্জ্বলকে ব্যক্তিগত ভাবে সাবধান করে দেয়।
উজ্জ্বল উক্ত্যক্ত করা ও শিক্ষকদের সাবধান করার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, জাহেদ আলী মাস্টারদের সাথে তার কোন পূর্ব শত্রুতা নেই। মাসুমার সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে। সে মাঝে মাঝে নানার বাড়ী কাশিমনগরে যেতো।
ইউনিয়ন আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম মেম্বার, বলেন ঘটনাটি মিটামিটি করে জাহেদ আলী মাস্টারের বাড়ী হতে উজ্জ্বলকে নিয়ে আসা হয়। তবে অন্য একটি পক্ষ তাদের ঐ অনাকাংক্ষিত ঘটনাটি ফেসবুকে প্রচার করে এলাকাটিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
এব্যাপারে উভয় পক্ষ অর্থাৎ উজ্জ্বলের পরিবার ও জাহেদ আলী মাস্টার মামলা দায়ের প্রস্ততি নিচ্ছে বলে এ রিপোট পযর্ন্ত জানা যায়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।