নিউজ ডেস্ক:
আল্লাহ তাআলা সুরা মুয্যাম্মিলে ইরশাদ করেন, ‘হে নবী! আপনি কুরআন তেলাওয়াত করুন স্পষ্ট উচ্চারণে, ধীরে ধীরে।’ হাদিসে নববিতেও তারতীলের সঙ্গে কুরআন তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। সাহাবায়ে কেরামের মাঝে যারা কারী ছিলেন তারা বিশ্বনবির দরবারে বিশেষ মর্যাদা লাভ করতেন।
হজরত আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার কোনো এক ব্যক্তির কুরআন তিলাওয়াত করতে শুনে বললেন, ‘লাকাদ রাত্তালাল কুরআনা, ফিদাহু আবি ওয়া উম্মি।’ অর্থাৎ ‘লোকটি তারতিলের সঙ্গে কুরআন তেলাওয়াত করছেন। তার প্রতি আমার বাবা-মা উৎসর্গ হোক।’
সমগ্র দুনিয়াজুড়ে অগণিত কুরআনের কারী রয়েছেন। যাদের কুরআন তিলাওয়াত হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সারাদিন শুধু তিলাওয়াতই শুনতে মন চায়। যতই তিলাওয়াত শুনা হয়, ততই মনে হয় যেন তিলাওয়াত শুনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
এ রকম বিশ্ব বিখ্যাত তিন কারীর হৃদয় ছোয়া তিলাওয়াত ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো-
মিশারি রশিদ আল আফাসি (Mishary Rashid Al Afasy): সুন্দর ও আবেগঘন তিলাওয়াতের অধিকারী সর্বাধিক আলোচিত কারী মিশারি রশিদ আল আফাসি। তিনি ৫ মে ১৯৭৬ সালে কুয়েতের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা রাশীদ এবং দাদা মুহাম্মাদ কুরআনের প্রতি অত্যন্ত দুর্বল ও দরিদ্র ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্বারী শায়েখ
মিশারী বংশগতভাবেই একজন কারী। এছাড়াও তিনি ইমাম, কুরআন গবেষক, সঙ্গীতশিল্পী ও আর্টিস্টও বটে। বাল্য বয়স থেকে শায়খ মিশারি কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি অধিক আগ্রহী ছিলেন।
আবদুর রহমান আস সুদাইসি: কুরআন তিলাওয়াত শুনার যে কারীর পরিচয় দেয়ার প্রয়োজন হয় না তিনি হলেন শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসি। তিনি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ১৯৬০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
বিশ্বসেরা এ কারী দীর্ঘদিন ধরে পবিত্র মসজিদুল হারাম তথা মক্কা শরীফের ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি অবসর গ্রহণের পর তিনি গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং আরাফাতের ময়দানের ভাষণের জন্য নির্বাচিত হন।
তিনি ২০০৫ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কুরআন সম্মাননাসহ ‘ইসলামিক পারসোনালিটি অফ দা ইয়ার’ নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি একজন সুবক্তা এবং লেখকও বটে।
সাউদ আশ শুরাইম: বিশ্ব বরেণ্য আরেক কারী হলেন পবিত্র মক্কা শরীফের ইমাম শায়খ আশ শুরাইম ইবনে ইবরাহিম ইবনে মুহাম্মাদ। তিনি ১৯ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
অসাধরণ মেধার অধিকারী শায়খ সাউদ আশ শুরাইম উম্মুল কুরার শারীআহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। শায়খ শুরাইম কিছুদিন আগে উম্মুল কুরার ফিকহ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও তার কুরআন তিলাওয়াতে কোনো বিরতি পড়েনি। অবিরাম গতিতে চলছে তাঁর কুরআন তিলাওয়াত। কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝে সবার আগে কুরআনকেই স্থান দিই।
সুমিষ্টি কণ্ঠের অধিকারী শায়খ সাউদ আশ-শুরাইম একজন বড় মানের লেখক। আকিদা, ফিকহ ও আরবি সাহিত্যের উপর তার অসংখ্য বই রয়েছে।
সাউদ আশ শুরাইম: বিশ্ব বরেণ্য আরেক কারী হলেন পবিত্র মক্কা শরীফের ইমাম শায়খ আশ শুরাইম ইবনে ইবরাহিম ইবনে মুহাম্মাদ। তিনি ১৯ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।
অসাধরণ মেধার অধিকারী শায়খ সাউদ আশ শুরাইম উম্মুল কুরার শারীআহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। শায়খ শুরাইম কিছুদিন আগে উম্মুল কুরার ফিকহ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও তার কুরআন তিলাওয়াতে কোনো বিরতি পড়েনি। অবিরাম গতিতে চলছে তাঁর কুরআন তিলাওয়াত। কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝে সবার আগে কুরআনকেই স্থান দিই।
সুমিষ্টি কণ্ঠের অধিকারী শায়খ সাউদ আশ-শুরাইম একজন বড় মানের লেখক। আকিদা, ফিকহ ও আরবি সাহিত্যের উপর তার অসংখ্য বই রয়েছে।