মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি খান। গত ৭ জুলাই মুন্নি স্বেচ্ছায় মেহেদীকে তালাক দেন। তার আগেই মেহেদীর মোবাইলে থাকা তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখেন মুন্নি। ছাড়াছাড়ির পর মুন্নি খান ওই সব ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মেহেদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন।
এতে গত ১২ আগস্ট রাতে শহরের বাসাইল লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের সামনে ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন মেহেদী। পুনরায় অর্থ দাবি করলে নরসিংদী মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মুন্নিকে আসামি করে একটি মামলা করেন মেহেদী।
এ বিষয়ে মেহেদী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মুন্নি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী হলেও আমি তাঁর অষ্টম স্বামী। এর আগে সে সাতজনকে বিয়ে করে নিজেই ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় ও বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করে পরে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করে। আমার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে বিধায় মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। ’
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ’