নিউজ ডেস্ক:
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো বিএনপি। তাদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছিলো। দূতাবাসে চাকরি দেয়াসহ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করেছিলো বিএনপি। সেখান থেকেই রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি হয়েছিলো।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এই ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেসময় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী থাকলেও এ অধ্যাদেশ তিনি বাতিল করেননি। বরং কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদের মতো বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, জিয়াউর রহমান জামায়াতকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রথম পুনর্বাসিত করেছিলেন। আর খালেদা জিয়া শুরু করেন পুরোপুরি জামায়াত নির্ভর রাজনীতি।
তারা বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে একাত্তরের রাজাকার-আলবদরদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন খালেদা জিয়া। সেই থেকে জামায়াত-বিএনপি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ফলে দেশের তরুণ সমাজ, সেক্যুলার সমাজ, মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী সমাজের আস্থাও হারিয়ে ফেলে বিএনপি।
দেশে সন্ত্রাস প্রতিপালন ও প্রতিপক্ষকে নির্মূলের রাজনীতি চালু করেছিলো বিএনপি উল্লেখ করে এসব রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি সবচেয়ে বড় বিভাজন রেখাটি তৈরি করেছিলো ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে। যার মাধ্যমে দলটি নিজেই সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যে পড়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বিএনপি প্রথম বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়া, তাদের পুনর্বাসন করাসহ রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দেয় বিএনপি।
রাজনীতিতে আজ সৌজন্যবোধ নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, দেশে রাজনীতিতে খুবই খারাপ সময় চলছে। রাজনীতি ক্রমেই পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাচ্ছে। বিরোধীরা অসুস্থ রাজনীতির জন্ম দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত হচ্ছে।