নিউজ ডেস্ক:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গ্রাম পুলিশদের জন্য ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০১৭-১৮ সালে বরাদ্দের পরিমাণ ১৩৫ কোটি টাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের এককালীন কিছু মৃত্যুভাতা প্রদান করা যায় কি না সরকার সে বিষয়ে বিবেচনা করছে। এছাড়া তাদের অবসরভাতা এককালীন অনুদান দফাদারদের ৬০ হাজার টাকা এবং মহল্লাদারদের ৫০ হাজার টাকা। দুটি ঈদে তাদের উৎসব ভাতা দেয়া হয়। তবে এ মুহূর্তে তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল রবিবার সংসদে ১৬তম অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধি অনুসারে জরুরী জন-গুরুত্বসম্পন্ন নোটিশের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের হিসাব তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪৫টি। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন দফাদার এবং ৯ জন মহল্লাদার সমন্বয়ে ১০ জন গ্রাম পুলিশ আছে। সে হিসেবে মোট গ্রাম পুলিশ ৪৫ হাজার ৪৫০ জন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ২৬ জানুয়ারিতে এক আদেশ বলে গ্রাম পুলিশদের তাদের অবসরভাতা এককালীন অনুদান দফাদারদের ৬০ হাজার টাকা এবং মহল্লাদারদের ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে অর্ধেক সরকার দেয় বাকী অর্ধেক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া হয়। দুটি ঈদে তাদের উৎসব ভাতা দেয়া হয়। দফাদার ও মহল্লাদারদের (চৌকিদার) ২০২০ সালে আবার বেতন ভাতা বাড়ানো হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে যথেষ্ট বেতন ভাতা বৃদ্ধি হওয়ার পরেও গ্রাম পুলিশদের খুব বেশি বাড়েনি। কিন্তু দফাদার মহল্লাদারদের বেতন ভাতা অন্য সাইকেলে বাড়ানো হয়। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গ্রাম পুলিশদের জন্য ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০১৭-১৮ সালে বরাদ্দের পরিমাণ ১৩৫ কোটি টাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের এককালীন কিছু মৃত্যু ভাতা প্রদান করা যায় কি না সরকার সে বিষয়ে বিবেচনা করছে।
পরে সম্পূরক প্রশ্নে তিনি জানতে চান, বর্তমানে গ্রাম পুলিশরা বেতন পায় ৩ হাজার টাকা। এ টাকায় তারা সংসার নির্বাহ করতে পারছেন না। অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের বেতন বাড়ানো হবে কি না? জবাবে মন্ত্রী বলেন, গ্রাম পুলিশদের বেতন ৫ বছর পরপর রিভিউ করা হয় এবং বাড়ানো হয়। এই মুহূর্তে তাদের বেতন-বাড়ানোর সুযোগ নেই।