বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা তাকে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যান।
সিএন্ডবি রোডের সড়ক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপানার দায়িত্বকালে বিলাসবহুল গাড়িটি থামানো হয়। প্রিমিও ব্র্যান্ডের ঢাকা মেট্রো-গ ৩৫-৪৬৬৪ নম্বরের গাড়িটি তল্লাশি করা হলে গাড়িতে থাকা ব্যাগভর্তি টাকা ও স্বর্ণালংকার দেখতে পাই। পরে সেটি আটক রেখে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে খবর দেওয়া হলে সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেনাবাহিনীর ক্যাডেট আন্ডার অফিসার সুন্দরবন রেজিমেন্টের সুজন হোসেন বলেন, ১২ লাখ টাকা মূল্যমানের ইউএস ডলার এবং নগদ ২৭ লাখ টাকা এবং প্রায় ১ কেজি স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। এছাড়া বেশ কিছু ব্লাংক চেক ও প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার সম্পদের কাগজপত্র পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখানে উপস্থিত আছেন। তারা এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
গাড়ির চালক আলতাফ হোসেন বলেন, বিকেল ৩টায় হারুন অর রশিদ সাহেবকে পটুয়াখালী সরকারি বাসভবন থেকে নিয়ে আসি। বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডের চৌমাথায় আসলে শিক্ষার্থীর আটকে দেয়। গাড়িটি ভাড়ায় চালিত একটি প্রাইভেটকার। তাকে কুষ্টিয়া সদরের কুষ্টিয়া আবাসিক এলাকার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। এর আগেও তাকে কয়েকবার কুষ্টিয়ায় নিয়ে গেছি।
গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ব্যাগে যে টাকা রয়েছে তা আমার বৈধ উপায়ে উপার্জিত। বাবা-মা অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা করানোর জন্য ওই অর্থ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুর জামান পলিনসহ শিক্ষার্থীরা টাকাভর্তি গাড়ি নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসে। উদ্ধারকৃত টাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা গণনা করেছেন।