চুয়াডাঙ্গায় বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউটরের ১২ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তার ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউটরের আব্দুল্লার আল মামুন নামে এক কর্মি প্রায় ১২ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার ঘটনায় ওই কর্মির এক সহযোগীকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর জীবননগর থানার সহায়তায় তাকে তার নিজ বাড়ি ধান্যখোলা থেকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। আটককৃত বাবলুর হমান (৪৫) বিকাশের টাকা লুট চক্রের সদস্যসহ ওই কর্মীর শ্বশুর বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার অফিস থেকে টাকা নিয়ে মার্কেটে গিয়ে পালিয়ে যায় ওই কর্মচারী। অভিযুক্ত বিকাশের ওই কর্মচারী আব্দুল্লাহ আল মামুন জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটর তাজ ইন্টারন্যাশনাল রেলবাজার চুয়াডাঙ্গা অফিসের (ডিএসও) জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক কর্মচারী ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শামিম উদ্দীন মিয়া সদর থানায় ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের হলে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত থেকে পুলিশ জানতে পারে, ওই কর্মচারীর শ্বশুর বাবলুর রহমান এই লুটের ঘটনার সাথে জড়িত। পরে গতকাল রাত ২টার পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানার (ওসি) অপারেশনসহ সঙ্গীয় ফোর্স জীবননগর থানা পুলিশের সহায়তায় জীবননগর উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামে আটক ওই আসামীর নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ওই কর্মচারীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার (ওসি) অপারেশেন মাসুদুর রহমান জানান, বিকাশের টাকা নিয়ে পালানোর ঘটনায় লিখিত অভিযোগ হলে থানা পুলিশ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে আটক এই আসামীর বিষয়ে তথ্য পায়। ফলে তাকে আটক করা হয়েছে। উক্ত মামলাতে আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মূল আসামীকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটর তাজ ইন্টারন্যাশনাল রেলবাজার চুয়াডাঙ্গা অফিসের (ডিএসও) জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক কর্মচারী প্রতিদিনের ন্যায় সকালে অফিসে আসে। খাতাপত্র সাক্ষর করে মার্কেটে দেওয়ার জন্য অফিস ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরে চুয়াডাঙ্গা বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউটরের তাজ ইন্টারন্যাশনাল রেলবাজার চুয়াডাঙ্গা অফিসের ম্যানেজার শামিম উদ্দীন মিয়া সদর থানায় ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।