সাভারে চাঞ্চল্যকর বাবা-ছেলেকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়ার ঘটনার মূলহোতাসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ আশুলিয়ার নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান।
এর আগে, রোববার রাতে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার আনিস সরদার (২৬) এবং চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার আদিল বিশ্বাস (২৪)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, চলতি বছরের গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাভার উপজেলার আমিন বাজার রূপালি-সৈকত হাউজিংয়ের ভেতর থেকে গরুর খামারি ফুয়াদুল ইসলাম ও তার শিশু সন্তান আশিকের অর্ধগলিত পচা দুর্গন্ধযুক্ত লাশ পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪-এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিন বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আনিস সরদারসহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর আনিস সরদার, আদিল বিশ্বাস ও তার সাথে থাকা আরও অন্য পলাতক সহযোগীরা প্রথমে গরুর খামারি ফুয়াদুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তার শিশু ছেলে আশিককে গলা কেটে দ্বিখণ্ডিত করে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করার জন্য ওই খামারের ভিতরেই মাটিচাপা দিয়ে রাখে। পরবর্তীতে শিয়াল মাটি খুড়ে লাশ বের করলে এই হত্যাকাণ্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরে র্যাব-৪ সিপিসি-২ অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আনিস সরদারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাব-৪ সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান জানান, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সাভার হেমায়েতপুর ও আমিনবাজার এলাকায় চুরি ও ছিনতাই করে আসছিল। ঘটনার দিন চক্রের সক্রিয় সদস্যরা খামারের গরু চুরি করার জন্য তারা ফুয়াদুল ইসলাম ও তার শিশু সন্তান আশিককে হত্যা করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিহত ফুয়াদুল ইসলাম (৫৪) মেহেরপুরের গাংনী থানার কাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা। জীবিকার তাগিদে সাভার আমিনবাজার এলাকার রূপালী-সৈকত হাউজিং এলাকায় একটি গরুর খামার দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। ফুয়াদুল ইসলামের সাথে তার দেড় বছর বয়সের ছেলে সন্তান আশিক একত্রে বসবাস করতো।