নিউজ ডেস্ক:
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ বুধবার ঘোষণা করবে ভারতের লখনউয়ের বিশেষ আদালত। ভারতীয় সময় দশটা নাগাদ এই রায় দেয়ার কথা আদালতের।
আগে আদালতের নির্দেশ ছিল আদভানি, জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতীদের সশরীরে আদালতকক্ষে হাজির থাকতে হবে। কিন্তু বয়সের কথা ভেবে ৯০ পার হয়ে যাওয়া আদভানি ও ৮৬ বছর বয়সী মুরলী মনোহর জোশী জানিয়েছেন, তারা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। উমা ভারতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এইমসে ভর্তি। কল্যাণ সিং-ও অসুস্থ। তারা কেউই আদালতে থাকবেন না।
তবে আদভানি, জোশী, কল্যাণ সিংয়ের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারেন। বাকিরা আদালতে হাজির থাকবেন।
বাবরি মসজিদ যখন ভাঙা হয়, তখন কল্যাণ সিং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আদভানি, জোশী ও উমা ভারতী ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় ছিলেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা বাবরি মসজিদ ভাঙার চক্রান্ত করেছিলেন এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা করেছিলেন। বাবরি মসজিদ ভাঙার পর দাঙ্গায় সারা দেশে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন।
উমা ভারতী ইতোমধ্যে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে জেলে যেতে হলে তিনি জামিনের আবেদন করবেন না।
লখনউয়ের আদালতকক্ষে প্রবল নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ও তাদের আইনজীবী ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। রায় যাই হোক না কেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী হতে বাধ্য বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। ডয়চে ভেলে